ছাতার কদর বেড়েছে

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি : শুরু হয়েছে বর্ষাকাল, প্রায় সময়ই মিলছে অবিরাম বৃষ্টির দেখা। ফলে নতুন ছাতার কদরসহ পুরাতন ছাতা মেরামতকারিদের ব্যস্ততা বেড়েছে। ষড়ঋতুর এ দেশে আষাঢ়-শ্রাবণ দুইমাস বর্ষাকাল। এসময় দিন-রাতের অধিকাংশ সময়ই হালকা, মাঝারি কখনও আবার ভারি বর্ষণ হয়। ফলে বাইরে বের হতে বেশিরভাগ সময়ই প্রয়োজন হয় ছাতার। অন্য ঋতুতে অযত্নে পড়ে থাকা ছাতার কদরও বাড়ে এ মৌসুমে। ফলে মেরামতকারিদের কাছেও ছাতা মেরামতের হিড়িক পড়ে যায়।
সিরাজগঞ্জের ছাতা মেকার ও ব্যবসায়ীরা জানান, আষাঢ় মাস চলছে, বর্ষা মৌসুমে ছাতার বাজার সরগরম হয়ে উঠেছে। বিক্রি ও মেরামতকারিদের ব্যস্ততা বেড়েছে। ফলে সকাল থেকে রাত অবধি চলছে ছাতা বিক্রি ও পুরাতন ছাতা মেরামতের কাজ।
সিরাজগঞ্জ শহরের বিভিন্ন ছাতার দোকান ঘুরে দেখা যায়, পাইকারি ও সাধারণ ক্রেতারা দোকানে ব্যাপক ভিড় জমাচ্ছেন। এসব দোকানে দেশি-বিদেশি ছাতার পাশাপাশি রয়েছে শিশুদের জন্য বাহারি নকশার ছাতা। কামারখন্দ উপজেলার জামতৈল বাজার, চৌবাড়ি, বলরামপুর হাটে গিয়ে দেখা যায়, ছাতা মেরামতে ব্যস্ত মেকাররা। এসময় মেকার হাতেম আলী জানান, প্রায় ত্রিশ বছরেরও বেশি সময় ধরে ছাতা মেরামত করেন তিনি। বর্ষা মৌসুমে ছাতা মেরামতের চাপ বাড়ে।
আরও পড়ুনপ্রতিদিন হাজার থেকে ১৫শ’ টাকা আয় হয় তার। জেলার বিভিন্ন বাজারে ভাসমান ছাতা মেকার আলাউদ্দিন(৩৭), কাদের মোল্লা(৬০), জহরুল(৪০) ফটিক(৪৮) জানায়, তারা অনেকেই গ্রামে বাড়ি বাড়ি ঘুরে ছাতা সাড়ার কাজ করে। কেউবা বিভিন্ন হাট-বাজারে খোলা আকাশের নিচে ছাতার কাজ করে প্রতিদিন দেড় থেকে ২ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করেন। তারা জানান, বছরের এ মৌসুমে যে আয় তা দিয়ে সংসার চালাতে হয়। বাকি সময় অনেকেই অন্য পেশায় কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন।
সিরাজগঞ্জের মেসার্স মোস্তাকিম ব্যাগ সেন্টারের মালিক শান্ত শেখ বলেন, বর্তমানে চীনের তৈরি ফোল্ডিং ছাতার চাহিদা বেশি। ভাঁজহীন দেশি ছাতা ২৫০-৪৫০ টাকা হলেও চাহিদা অনেক কম। দেশি-বিদেশি দুই ভাঁজের ছাতা ২৫০ টাকা থেকে সাড়ে ৬৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও এপেক্স ভবনের লোটো শোরুমে ৮শ’ থেকে ১৮শ’ টাকার ছাতা বিক্রি হচ্ছে বলে জানান তিনি।
মন্তব্য করুন