ভিডিও শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫

সংরক্ষণের দাবি এলাকাবাসীর

নওগাঁর মহাদেবপুরে শৈল্পিক কারুকার্য খচিত চুন-সুড়কির তৈরি খাদেমোল মসজিদ

নওগাঁর মহাদেবপুরে শৈল্পিক কারুকার্য খচিত চুন-সুড়কির তৈরি খাদেমোল মসজিদ। ছবি : দৈনিক করতোয়া

মহাদেবপুর (নওগাঁ) প্রতিনিধি : নওগাঁ মহাদেবপুর উপজেলার চকচাঁদ গ্রামের চুন-সুড়কির তৈরি সুনামধন্য শতবর্ষের প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী খাদেমোল মসজিদ। চকচাঁদ গ্রামের ধনাঢ্য ব্যক্তি সরদার মোহাম্মদ মোকাররমের নেতৃত্বে মছাম্মাৎ কাঁছমন্নেছা, মছাম্মাৎ সবুজন্নেছার সহযোগিতায় বাংলা ১৩২৭ সালে এই মসজিদ নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়।

তৎকালীন সময়ে এর সৌন্দর্যবর্ধনে ভারতের মুর্শিদাবাদ এলাকার রাজমিস্ত্রী জৌলসুর রহমানের নেতৃত্বে একদল রাজমিস্ত্রী এনে মসজিদ নির্মাণের কাজ শুরু করা হয়। মসজিদ নির্মাণে এলাকায় নিজস্ব ইটভাটায় তৈরি করা হয় ইট। সরদার মোহাম্মদ মোকাররম মৃত্যুবরণ করলে তার ছেলেরা সরদার মোহাম্মদ ইউছুফ আলী ও সরদার মেছের উদ্দীন আহমাদ বাংলা ১৩৩২ সালের ২৮শে চৈত্র মসজিদের নির্মাণ কাজ শেষ করেন বলে জানান, সরদার মোহাম্মদ মোর্ক্্ারমের নাতি মো. সাইদুর রহমান লিটন ও মো. আশিকুল চৌধুরী।

তারা আরও বলেন, কবরস্থানসহ ১ বিঘা জমির উপর চুন-সুড়কি দ্বারা ১৪টি স্তম্ভ বিশিষ্ট শৈল্পিক কারুকার্য খচিত শতবর্ষের প্রাচীন এই মসজিদটি তৈরি করা হয়েছে। দুই কক্ষ বিশিষ্ট মসজিদটিতে ৬টি দরজা ও ৪টি জানালা রয়েছে।

আরও পড়ুন

রেললাইনের ইস্পাতের উপর চুন-সুড়কি দ্বারা ঢালায় করা হয়েছে এর ছাদ। ছাদের উপর ছোট-বড় অনেকগুলো মিনার দ্বারা সজ্জিত করা হয়েছে। মসজিদের ভিতরে ও বাইরে রয়েছে প্রাচীন ইতিহাস ও ঐতিহ্যের শৈল্পিক কারুকার্যের নিদর্শন। মসজিদের দক্ষিণ পাশে ছোট একটি কবরস্থান, যেখানে শায়িত আছে মসজিদটির নির্মাতাগণ।

ঈদসহ বিভিন্ন উৎসবে আশেপাশের অনেক এলাকা থেকে প্রাচীন এ মসজিদটি দেখতে আসেন দর্শনার্থীরা। আধুনিকতার ছোঁয়ায় দিনদিন হারিয়ে যাচ্ছে চুন-সুড়কির তৈরি প্রাচীন মসজিদগুলো। তাই সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় প্রাচীন এই মসজিদটি সংরক্ষণের দাবি এলাকাবাসীর।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

শিয়াল মারার ফাঁদে প্রাণ গেল যুবকের

এবার সেন্ট্রাল ইসরায়েলে ভয়াবহ হামলা চালানো ইরান

ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধজাহাজ পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

ইরানে ইসরায়েলের হামলা নিয়ে মুখ খুললেন ট্রাম্প

চাঁপাইনবাবগঞ্জে ভাতিজার ছুরিকাঘাতে চাচা খুন

প্রধান উপদেষ্টা ও তারেক রহমানের বৈঠক দেশের গণতন্ত্রের জন্য সুসংবাদ