চামড়া নিয়ে এবারও হতাশ কোরবানীদাতারা
দাম বাড়াতো দূরের কথা বগুড়ার অনেক এলাকায় চামড়া ক্রেতাও যায়নি

স্টাফ রিপোর্টার : বগুড়ায় এবার কোরবানীর পশুর চামড়ার দাম বেশি হওয়ার কথা থাকলেও চামড়া অনেক কমদামে বিক্রি হয়েছে। শহরে কোরবানীদাতারা মোটামুটি দামে চামড়া বিক্রি করতে পারলেও গ্রামে খুব অল্প দামে চামড়া বিক্রি হয়েছে। প্রতিবার বিভিন্ন এলাকায় একাধিক চামড়া ক্রেতা দেখা গেলেও এবার অবস্থা ছিলো ভিন্ন। অনেক স্থানে চামড়া ক্রেতা না যাওয়ায সারা দিন চামড়া পড়ে থাকতে দেখা গেছে।
ঈদের দিন দুপুরে বগুড়া শহরের ইয়াকুবিয়া মোড়ে কয়েকজনকে চামড়া কিনতে দেখা গেছে। দিন তারা ৫০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৮০০ টাকা পর্যন্ত গরুর চামড়া কিনছেন। কিন্তু দিন শেষে তারা সেই দামে বিক্রি কতে পারেন নি। শহরের থানা মোড়ে অস্থায়ী চামড়া ক্রেতারা বেলা ১২ টার আগে পর্যন্ত যে দামে কিনেছেন দুপুরের পর সেই দামে আর কেনেননি। ফলে অনেক মৌসুমী ব্যবসায়ী চামড়া কিনে লাভ করতে পারেন নি।
বগুড়ার শাজাহানপুরের বীরগ্রাম এলাকার বাবলু জানান, সাঁড় গরুর চামড়া ৪শ থেকে সাড়ে ৪শ টাকায় বিক্রি হলেও গাভির চামড়া ২শ টাকায় বিক্রি হয়েছে। দাম বেশি হবে এই আশায় থাকার পর অনেক মৌসুমী ব্যবসায়ী লোকসান করে চামড়া বিক্রি করে এসেছেন। তাদের মুখে হাসি নাই। এদিকে বেলা ১১ টার পর থেকে বিকাল পর্যন্ত শহরে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে চামড়া ক্রেতা নাই। শহরের থানা মেড়ে যারা চামড়া কিনেছেন তারা কাঙ্খিত দামে চামড়া কিনছে না।
আরও পড়ুনবগুড়া শহরের সুত্রাপুর এলাকার মৌসুমী চামড়া ব্যবসায়ী রেজাউল করিম জানান, তিনি গড়ে ৫শ থেকে সাড়ে ৫শ টাকা করে গরুর চামড়া কিনে ছিলেন তার লোকসান না হলেও বেশি লাভ হয়নি। ছাগলের চামড়া আড়ৎদারেরা কিনতে না চাওয়ায় তিনি ছাগলের চামড়া কেনেননি।
ঈদের দিন বগুড়া শহরের থানা মোড় থেকে শুরু করে চকসুত্রাপুর চামড়াপট্টি পর্যন্ত চামড়া কেনার যে অস্থায়ী দোকান বসে তারা মৌসুমী ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে কিছু বেশি দামে কিনলেও সাধারণ বিক্রেতাদের কাছ থেকে ৫শ থেকে ৬শ টাকায় কিনেছেন। চামড়া ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মো. আসাদুজ্জামান জানান, ঈদের পর থেকে এখন পর্যন্ত কোন নিসেব না হওয়ায় বলা যাচ্ছে না কতগুলো চামড়া কেনা হয়েছে। দুই এক দিনের মধ্যে বলা যাবে বগুড়ায় কতটি চামড়া কেনা হয়েছে।
মন্তব্য করুন