ভিডিও শুক্রবার, ৩০ মে ২০২৫

সেচের আওতায় আসবে ১২৫ হেক্টর জমি

৩৫ বছর পর পুনরায় চালু হচ্ছে পঞ্চগড়ের নলকুড়া সেচ প্রকল্প

৩৫ বছর পর পুনরায় চালু হচ্ছে পঞ্চগড়ের নলকুড়া সেচ প্রকল্প, প্রতীকী ছবি

পঞ্চগড় প্রতিনিধি : পঞ্চগড়ের করতোয়া নদীতে এলএলপি সেচ পাম্পের সাহায্যে পানি তুলে নলকুড়া সেচ প্রকল্পের আওতায় সদর উপজেলার কামাত কাজলদিঘী ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের কৃষকরা ১২৫ হেক্টর জমি আবাদ করতেন। কিন্তু নদীতে পানির স্বল্পতা দেখিয়ে সেচ প্রকল্পটি বন্ধ করে দেয় পানি উন্নয়ন বোর্ড। ৩৫ বছর পর আবারও চালু হচ্ছে সেই নলকুড়া সেচ প্রকল্প। প্রকল্পটি পুনরায় চালু করার জন্য দুইশ’ মিটার সেচখাল, নতুন পাম্প, পাম্প হাউসের পাশে নদীর তীর রক্ষা বাঁধের মেরামত কাজ শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রকল্পের ৯০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে সব কাজ শেষ হবে বলে আশা করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ। প্রকল্প পরিচালনার জন্য মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম প্রধানকে আহবায়ক করে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট একটি এডহক কমিটি গঠন করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার বিকেলে প্রকল্পের মেরামত কাজ পরিদর্শন করেছেন পঞ্চগড় পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আশুতোষ বর্মন, পানি উন্নয়ন বোর্ড ঠাকুরগাঁওয়ের উপ-প্রধান সম্প্রসারণ কর্মকর্তা রফিউল বারীসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, ১৯৬৩ সালে পাকিস্তান আমলে পঞ্চগড় সদর উপজেলার কামাত কাজলদিঘী ইউনিয়নের তালমা নদীতে (বর্তমানে রাবার ড্যাম সংলগ্ন) নলকুড়া সেচ প্রকল্পটি স্থাপন করা হয়। খুব কম খরচে এই সেচ প্রকল্পের পানি দিয়ে আশপাশের কয়েকটি গ্রামের মানুষ জমিতে চাষাবাদ করতেন। ২৬ বছর সচল থাকার পর নদীতে পানির স্বল্পতা দেখিয়ে ১৯৮৯ সালে প্রকল্পটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। দীর্ঘদিন প্রকল্পটি বন্ধ থাকায় নষ্ট হয়ে যায় সেচ পাম্প ও পাম্প হাউস। সেচনালা বন্ধ করে স্থানীয়রা সেখানে নির্মাণ করে চলাচলের রাস্তা। সম্ভাব্যতা যাচাই শেষে বন্ধ হয়ে প্রকল্পটি পুনরায় চালুর উদ্যোগ নেয় পানি উন্নয়ন বোর্ড। উদ্ধার করা হয় সেচ খালের জায়গা। চলতি অর্থবছরে ১৮ লাখ টাকা ব্যয়ে শুরু হয় সেচনালা সংস্কার কাজ। সংস্কার করা হচ্ছে নদীর তীর রক্ষা বাঁধ। বসানো হয়েছে সেচপাম্প। নতুন করে তৈরি করা হয়েছে পাম্প হাউস। আর মাত্র ১৫ দিনের মধ্যে সম্পূর্ণ প্রস্তুত হবে সেচ প্রকল্পটি। আগামী বর্ষায় পানি সংকট দেখা দিলে এই প্রকল্পের পানি দিয়ে প্রকল্পভুক্ত কৃষকরা আমন ধান আবাদ করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ড ঠাকুরগাঁওয়ের উপ-প্রধান সম্প্রসারণ কর্মকর্তা রফিউল বারী।

এ ব্যাপারে কামাত কাজলদিঘী ইউপি সদস্য মোজাম্মেল হোসেন জানান, দীর্ঘ ৩৫ বছর পর নলকুড়া সেচ প্রকল্পটি চালু হতে যাওয়ায় এই এলাকার মানুষ খুবই আনন্দিত। আগামীতে স্বল্প খরচে এলাকার কৃষক সেচ সুবিধা পাবেন।

আরও পড়ুন

পঞ্চগড় পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আশুতোষ বর্মন জানান, পঞ্চগড় জেলায় অনেক সেচ প্রকল্প দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে। সম্ভাব্যতা যাচাই করে নলকুড়া সেচ প্রকল্পটি পুনরায় চালু করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। চলতি অর্থবছরে ১৮ লাখ টাকা ব্যয়ে সংস্কার কাজ প্রায় শেষের দিকে। প্রকল্পটি পুনরায় চালু করা হলে ওই এলাকার কৃষক খুব কম খরচে জমিতে সেচ সুবিধা পাবেন। এতে করে উৎপাদন খরচও অনেক কমে আসবে। 

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ঢাকায় ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টি ঝরেছে ১৯৫ মিলিমিটার

রেলপথের জন্য ১.০৬৩ বিলিয়ন ডলার দেবে জাপান

শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের শাহাদাতবার্ষিকী আজ

জলাবদ্ধতা নিরসনে জরুরি কন্ট্রোল রুম খুলেছে ডিএনসিসি

বিসিবি সভাপতি ফারুকের মনোনয়ন বাতিল

দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে ৪৯ হাজার পরিবার পাচ্ছে ভিজিএফে’র চাল