দেশ বিদেশ থেকে ‘শেষের গল্প’তে দীপার অভিনয়ের প্রশংসায় দর্শক
_original_1759593125.jpg)
অভি মঈনুদ্দীন ঃ একজন গুনী এবং জাত অভিনেত্রী হিসেবে বাংলাদেশের নাট্যাঙ্গনের জনপ্রিয় অভিনেত্রী দীপা খন্দকার নিজেকে প্রমাণ করেছেন বহু আগেই। বিশেষত অভিনয় জীবনের শুরুতে তিনি এমন এমন গুনী নির্মাতার জীবন ঘনিষ্ঠ গল্পে অভিনয় করার সুযোগ পেয়েছেন যে, সেসব নাটকে অভিনয় করেই দীপা খন্দকার নিজেকে দর্শকের কাছে এক অন্যরকম উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। দীপা খন্দকারের অভিনয় জীবনের শুরুর সময়কালে দীপার সঙ্গে আরো যারা অভিনয় শুরু করেছিলেন তাদের মধ্যে একমাত্র দীপা খন্দকারই অভিনয় জীবনের শুরু থেকে আজ পর্যন্ত কোনোরকম বিরতি ছাড়া নিয়মিত আলোচনায় থেকেই একের পর এক নাটকে, বিজ্ঞাপনে এবং সিনেমাতে অভিনয় করে যাচ্ছেন। বলা যেতে পারে বাংলাদেশের নাট্যাঙ্গনে দীপা খন্দকারের মতো একজন অভিনেত্রী তার সময়কালের সেরা একজন অভিনেত্রী।
দীপা অভিনীত সর্বশেষ আলোচিত নাটক ছিলো কেএম সোহাগ রানা পরিচালিত ‘অনুতপ্ত’। এটি একটি পারিবারিক গল্পের নাটক। এই নাটকটিও দর্শকের মধ্যে বেশ সাড়া ফেলেছে। এরইমধ্যে গত ২৯ সেপ্টেম্বর এনটিভিতে প্রচারের পর তাদের ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ পেলো দীপা খন্দকার ও জাহিদ হোসেন শোভন অভিনীত নাটক ‘শেষের গল্প’। নাটকটি রচনা করেছেন ও পরিচালনায় করেছেন মুরাদ পারভেজ। নাটকটিও এক বছরেরও বেশি আগে শ্রীমঙ্গলে নির্মিত হয়েছিলো।
অবশেষে নাটকটি প্রচারের পর এর বিশেষত দীপা’র অভিনয়ের নাটকীয় কিছু দৃশ্য ফেসবুকে প্রকাশের পর সেসব সিরিয়াস দৃশ্য পুরোপুরি দেখতে গিয়ে অনেক দর্শক পুরো নাটকটি দেখছেন। নাটকের গল্প, নাটকের নির্মাণ, লোকেশন এবং বিশেষত নাটকে একজন একা মায়ের চরিত্রে দীপা খন্দকারের অনবদ্য অভিনয়ের ভূঁয়সী প্রশংসা করছেন সবাই। এনটিভি’র ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশিত এই নাটকের মন্তব্যের ঘরে গেলে কিংবা ফেসবুকেও প্রকাশিত বিভিন্ন দৃশ্যের মন্তব্যের ঘরে গেলে শুধু দীপারই অভিনয়ের প্রশংসা দেখা যাচ্ছে। বহুদিন পর দীপার অভিনয় নিয়ে চারিদিকে বেশ আলোচনায় হচ্ছে। বরা যেতে পারে নতুন করে এক অন্যরকম উচ্চতায় চলে এলেন দীপা খন্দকার। শুধু দর্শকই নয় তার সহশিল্পীরাও এমন গল্পের নাটকের এবং দীপার অভিনয়ের প্রশংসা করছেন। দীপা এরইমধ্যে এই ধরনের গল্পের নাটকে অভিনয়ের জন্য আরো প্রস্তাব পেয়েছেন।
আরও পড়ুনদীপা খন্দকার বলেন,‘ বিশেষত এনটিভি থেকে আমাকে ফোন করে অভিনন্দন জানিয়েছেন এবং এই ঘরানার গল্পের নাটকে আরো অভিনয়ের প্রস্তাব দিয়েছে। আমি ভাবতেও পারিনি নাটকটিতে অভিনয়ের জন্য এতো সাড়া পাবো আমি। দেশ বিদেশ থেকে অসংখ্য মানুষের সাড়া পাচ্ছি আমি। সত্যি বলতে কী আমি যে চরিত্রটিতে অভিনয় করেছি সেই চরিত্রটি আসলে অনেক মায়েরই জীবনের গল্প। কোনো কোনো মা সন্তানের জন্য জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত নিজের সুখকে বিসর্জন দিয়ে একাই কাটিয়ে দেয়। কিন্তু মায়েরও যে মন আছে সেটা সন্তানেরা বুঝতে চায়না। ধন্যবাদ মুরাদ পারভেজকে আমাকে এই নাটকে কাজ করার সুযোগ করে দেবার জন্য।’
এদিকে এরইমধ্যে দীপা খন্দকার প্রায় শেষ করেছেন বদিউল আলম খোকনের ‘তছনছ’ সিনেমার কাজ।
মন্তব্য করুন