গাইবান্ধার পলাশবাড়ীর ঋষিঘাট পারাপারে ৩০ গ্রামের মানুষের ভরসা নৌকা

পলাশবাড়ী (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি : পলাশবাড়ী উপজেলার ঋষিঘাট পারাপারে ৩০ গ্রামের মানুষের একমাত্র ভরসা নৌকা। একটি ব্রিজ অভাবে বিভিন্ন শ্রেণি পেশা ৩০ গ্রামের অন্তত লাখো মানুষের ভোগান্তি। গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলা সদর হতে সীমানাবর্তী এলাকার করতোয়া নদীর ঋষিঘাটটি ১৩ কি.মি. দূরে অবস্থিত।
প্রায় ৫০ বছরেও ব্রিজ নির্মাণ না হওয়ায় দুর্ভোগ ও দুর্গতি নিয়ে প্রতিদিন স্কুল, কলেজ পড়ুয়া ছাত্র/ছাত্রী, ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশা অন্তত ৩০ গ্রামের মানুষ নদী পারাপার হয়ে আসছে। এ ভোগান্তির যেন শেষ নেই! এলাকাবাসীর দাবি, দ্রুত একটি ব্রিজ নির্মাণের। ব্রিজ নির্মাণ করা হলে স্কুল-কলেজ পড়ুয়া ছাত্রছাত্রীসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশা মানুষের ভোগান্তি কমে যাবে।
সরেজমিনে জানা যায়, দিনাজপুর ও গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার কিশোরগাড়ী ইউনিয়নের চকবালা গ্রামের সীমানা ঘেঁষে বয়ে গেছে করতোয়া নদী। আর এ বয়ে যাওয়া করতোয়া নদী চকবালা ও নলডাঙা তেকানি গ্রামের মধ্য সীমানায় নদী পারাপারের ঋষিঘাট।
এ ভোগান্তি চলে আসছে পথচারীদের দীর্ঘ ৫০ বছর ধরে সময় পেরিয়ে গেলেও এমপি তো দূরের কথা কোন সরকারের আমলেই দুর্ভোগে লেগে থাকা অবহেলিত ঘাটটি কারো নজরে আসেনি একটি ব্রিজ নির্মাণের কথা। এ ভোগান্তির যেন শেষ নেই।
আরও পড়ুনব্যস্ততম এই ঋষিঘাট দিয়ে প্রতিনিয়ত ছাত্রছাত্রী, ব্যবসায়ী, চাকরিজীবী এনজিও কর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার হাজার হাজার লাখো পথচারী খেয়া পারাপারের একমাত্র ভরসা যেন এই নৌকা। এঘাট দিয়ে প্রতিনিয়ত খেয়া পারাপার হচ্ছে প্রায় ৩০ গ্রামের বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ। সর্ববস্তরের মানুষের যাতায়াতের একমাত্র ভরসা অবহেলিত এই ঋষিঘাটের নৌকা।
স্থানীয় বাসিন্ধা মন্টু মিয়া, মজিবর রহমান, এই ঘাটে একটি ব্রিজ নির্মাণ করা দরকার ব্রিজটা হলে আমাদের চলাচলে অনেক সহজ হবে। আমরা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করি দ্রুত যেন একটি ব্রিজ নির্মাণ করা হয়।
কিশোরগাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান অবু বক্কর সিদ্দিক জানান, ঋষিঘাটে একটি সেতু আমাদের আশু প্রয়োজন। এখানে একটি ব্রিজ নির্মাণ করা হলে আমাদের এই এলাকায় ব্যবসা বাণিজ্য কৃষি ক্ষেত্রে ব্যাপক প্রসার ঘটবে তাই ব্রিজটি নির্মাণে সরকারের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সুদৃষ্টি কামনা করছি।
মন্তব্য করুন