সংবাদ সম্মেলন
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে এস্কেভেটর পোড়ানোর অভিযোগ, অস্বীকার ইউএনও’র

স্টাফ রিপোর্টার : ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে এস্কেভেটর মেশিন পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ করে বগুড়া প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। আজ রোববার (১৮ মে) ‘জামথল ঘাট সারিয়াকান্দি বগুড়া’ অংশের ২ এবং ৩ নং প্যাকেজের কাজের প্রজেক্ট ম্যানেজার কানাই লাল বিশ্বাস এই সংবাদ সম্মেলন করেন।
এসময় তিনি বলেন, তারা বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড জামালপুর শাখার অধীনে যমুনা নদীর তীর সংরক্ষণ প্রকল্পের আওতায় ‘জামথল ঘাট সারিয়াকান্দি বগুড়া’ অংশের ২ ও ৩নং প্যাকেজের কাজ করছেন। এই কাজের একেবারে নিচের অংশে কয়েক লেয়ার জিও ব্যাগ ডাম্পিং করে তার ওপর বিভিন্ন সাইজের কংক্রিট ব্লক ডাম্পিং করতে হয়।
কাজটি সুন্দর করার জন্য জিও ব্যাগের ওপর ব্লক ডাম্পিং করতে গিয়ে মাঝে মাঝে গ্যাপ সমান করার জন্য মাটি অথবা বালু দিতে হয় এবং ডিজাইন ও অফিস আদেশ অনুযায়ী মাটি কাটা এবং ভরাটের জন্য সাইটে এস্কেভেটর রাখতে হয়।
গত ১৪ মে দুপুরে ঘটনার দিন তাদের কোম্পানির এস্কেভেটরটি লেবার শেডের পাশে দাঁড় করানো ছিল। বেলা আড়াইটার দিকে সারিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহরিয়ার রহমান সেখানে উপস্থিত হয়ে কোন প্রকার জিজ্ঞাসাবাদ ছাড়াই তাদের এস্কেভেটরটি ভেঙে ফেলার আদেশ দেন বলে অভিযোগ করা হয়। এর কারণ জানতে চাইলে-বলা হয়, ‘আপনারা অবৈধভাবে বালু বিক্রি করেন’ যা সত্য নয় বলে দাবি করা হয়। এমতাবস্থায় ইউএনওকে বিস্তারিত বলে বোঝাতে চেষ্টা করা হয়।
আরও পড়ুনতারপরেও তিনি এক লাখ টাকা জরিমানা এবং তা অনাদায়ে তিন মাসের কারাদন্ডের মৌখিক আদেশ দেন। গাড়িটিকে বাঁচানোর জন্য তাৎক্ষণিক জরিমানার টাকা পরিশোধ করা হয় এবং গাড়িটির ক্ষতি না করতে অনুরোধ জানানো হয়। কিন্তু তিনি সব উপেক্ষা করে এস্কেভেটরে থাকা দু’টি ব্যাটারি, এয়ার কুলার, অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র এবং অন্যান্য মালামাল জব্দ করে গাড়িতে আগুন দেওয়ার নির্দেশ দেন। এতে তাদের দেড় কোটি টাকার গাড়িটি পুড়ে যায়। এমতাবস্থায় তারা প্রজেক্টের সাধারণ কর্মচারীবৃন্দ খুব মানসিক চাপ এবং অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন পার করছেন বলে দাবি করেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সারিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহরিয়ার রহমান বলেন, ভ্রাম্যমাণ আদালতে কেউ অপরাধ স্বীকার করলে তবেই তাকে শাস্তি প্রদান করা হয়, বা জরিমানা করা হয়। এ ক্ষেত্রে এর ব্যতয় ঘটেনি। আর এস্কেকেভটর পুড়িয়ে দেওয়া যে দাবি করা হয়েছে তা সত্য নয়। কারণ, এস্কেভেটর যে মেটালে তৈরি তাকে পোড়ানো সম্ভব নয়, আর ব্যাটারি জব্দ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ভ্রাম্যমাণ আদালত চলে আসার পর অপরাধীরা যাতে পুনরায় ওই মেশিন ব্যবহার করতে না পারে সেজন্য তাতে আগুন দিয়ে অকেজো করে দেওয়া হয় মাত্র, পুড়িয়ে দেওয়ার দাবি সত্য নয়।
মন্তব্য করুন