বগুড়ায় খরিপ মৌসুমেও হাতের নাগালে সবজির দাম

স্টাফ রিপোর্টার : প্রকৃতি চলছে সবজি চাষের খরিপ মৌসুম। রবি মৌসুম শেষে প্রতি বছর খরিপ মৌসুমে সবজির দাম থাকে আকাশচুম্বী। এবার চিত্র অনেকটাই ভিন্ন। বিগত কয়েক বছরের মধ্যে এবার এই সময় সবজির দাম সাধারণ মানুষের হাতের নাগালে।
আজ বৃহস্পতিবার বগুড়ার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, আলু প্রতি কেজি মানভেদে ১৮ থেকে ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা গত বছর এই সময় ৪৬ থেকে ৪৮ টাকা। কাঁচমরিচের কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকা, যা গত বছর এই সময় ১২০ টাকা কেজি। এছাড়াও বেশিরভাগ সবজির দাম ৪০ থেকে ৬০ টাকার মধ্যে, যা গত বছর ছিল ৭০ থেকে ৯০ টাকা পর্যন্ত। এদিন বগুড়ার ফতেহ আলী বাজারে প্রতি কেজি বেগুন ৫০ থেকে ৬০, পটল, করলা, ঝিংগা, চিচিংগা ৫০ টাকা, পেঁয়াজ, কাঁচামরিচ, গাজর ৬০ টাকা, ঢেড়স, শশা ও টমাটো ৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হতে দেখা যায়। আদা গত বছর ১৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হলেও এবার তা ১০০ টাকা এবং গত বছরের ২৪০ টাকা কেজির রসুন এবার ১৬০ টাকায় বেচাকেনা হচ্ছে।
জানতে চাইলে বগুড়ার ফতেহ আলী বাজারের সবজি ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলাম বলেন, বিগত কয়েক বছরের মধ্যে এবার এই সময় সবজির দাম মানুষের হাতের নাগালে। তিনি জানান, বিগত দিনগুলো বাজারে সিন্ডিকেট ছিল, এবার সেই তৎপরতা খুব একটা লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। তাছাড়াও কৃষকের হাত ঘুরে ভোক্তার হাতে সবজি আসতে কয়েক দফা চাঁদাবাজি হতো এবার এসব খুব একটা নজরে আসছে না। পাশাপাশি আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় সবজির দাম কম লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
আরও পড়ুনবগুড়ার বাজারগুলোতে আটা প্রতি কেজি (খোলা) ৪০, প্যাকেট ৫০, ময়দা ৬৫ টাকা। মসুরের ডাল প্রতি কেজি ১১০/১৪০, খেসারি ১২০, মুগ ১৬০/১৮০, ছোলা ১১০ টাকায় বেচাকেনা হয়। চিনি প্রতি কেজি ১২০ এবং লাল চিনি ১৪০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা যায়। প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৯০ এবং পাঁচ লিটার তেল ৯০০ টাকায় বেচাকেনা হচ্ছে। প্রতি হালি ফার্মের ডিমে দুই টাকা পর্যন্ত বেড়ে ৪২ থেকে ৪৪ টাকা, ব্রয়লার মুরগির কেজি ১৭০ এবং ককরেল মুরগির কেজিতে ১০ টাকা পর্যন্ত কমে ২৫০ টাকা এবং দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজিতে ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে ৬০০ টাকায়। খাসির মাংসের কেজি এক হাজার এবং গরুর মাংস ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকায় বেচাকেনা হতে দেখা যায়। এদিন দুই থেকে আড়াই কেজি ওজনের কাতল মাছ প্রতি কেজি ২৮০/৩২০ টাকা, তিন কেজি ওজনের রুই মাছ ৩০০/৩৫০ টাকা এবং আড়াই থেকে তিন কেজি ওজনের সিলভার কার্প মাছ ২২০/২৩০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও প্রতি কেজি টেংরা মাছ ৩০০/৪০০, মলা ৪০০, পাবদা ৪৫০, শিং মাছ ৩০০/৫৫০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা যায়। শহরের ফতেহ আলী বাজারে আকারভেদে প্রতি কেজি ইলিশ মাছ ৭০০ থেকে ১৮শ’ টাকায় বিক্রি হতে দেখা যায়।
মন্তব্য করুন