ফরিদপুরে ধর্ষণের শিকার সপ্তম শ্রেণি শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

নিউজ ডেস্ক:   ফরিদপুরের সালথা উপজেলার সিংহপ্রতাপ গ্রামে নিজের বসতঘরের আড়া থেকে ইতি আক্তার (১৩) নামে সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সম্প্রতি বিয়ের প্রলোভনে ওই ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন বলে অভিযোগ আছে।

বুধবার (৭ মে) বেলা ১১টার দিকে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ইতির সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলেন ফরিদপুর সদর উপজেলার প্রতাপপুর গ্রামের সোহেল রানা (২২)। ইতির মা প্রবাসে থাকেন। আর বাবা ও ভাই বিভিন্ন এলাকায় দিনমজুরের কাজ করেন। ১৪ মার্চ ইতি বাড়িতে একা ছিলেন। এই সুযোগে সোহেল মেয়ের বাড়ি এসে তাকে ধর্ষণ করেন।

এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর বাবা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে সালথা থানায় মামলা করেন। মামলার পর ২০ এপ্রিল রাতে পটুয়াখালী থেকে সোহেলকে গ্রেফতার করে র্যাব। বর্তমানে তিনি কারাগারে।

ফরিদপুরে ধর্ষণের শিকার সপ্তম শ্রেণি শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

মাদ্রিদ ওপেনের ফাইনালে ব্রিটিশ-নরওয়ে লড়াই

ধলেশ্বরী টোল প্লাজায় বাসচাপায় ৬ জন নিহত : ঘাতক চালক গ্রেপ্তার

ইতির পরিবারের সদস্যরা জানান, সোহেল গ্রেফতার হওয়ার পরও উভয় পরিবার মীমাংসার চেষ্টা করেন। কিন্তু ইতির সঙ্গে বিয়েতে রাজি হয়নি সোহেলের পরিবার। যে কারণে মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েছিলেন তিনি। বুধবার নিজ ঘরের আড়ার সঙ্গে ইতির মরদেহ ঝুলতে দেখে তার পরিবার। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।

সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আতাউর রহমান বলেন, ধর্ষণের শিকার ইতির মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতের পরিবার অভিযুক্ত সোহেলের সঙ্গেই মেয়ের বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। এতে সোহেলের পরিবার রাজি না হওয়ায় অভিমান করে গলায় ফাঁস দিয়ে ইতি আত্মহত্যা করেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।