জুম ক্ষেতে চিংমা খিয়াংয়ের মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনে তদন্তে নেমেছে পুলিশ

নিউজ ডেস্ক: বান্দরবানের থানচি উপজেলার তিন্দু ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মংখ্যং পাড়া সংলগ্ন পাথরের নালার ওপর থেকে সোমবার (৫ মে) চিংমা খিয়াং নামে এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। জুম ক্ষেতের নিকটবর্তী পাথরের নালার ওপরে তার লাশ পাওয়া যায়। তিনি দুর্ঘটনায় নাকি হত্যার শিকার তা খতিয়ে দেখতে কাজ শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলার পুলিশ সুপার শহিদুল্লাহ কাওছার।
মঙ্গলবার (৬ মে) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে বান্দরবান জেলা প্রশাসকের কনফারেন্স রুমে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।
জেলা প্রশাসন ও জেলা পুলিশের সমন্বয়ে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে জেলা প্রশাসক শামীম আরা রিনি, জেলা পুলিশ সুপার শহিদুল্লাহ কাওছার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জিনিয়া চাকমা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল করিম উপস্থিত ছিলেন।
চিংমা খিয়াংয়ের মরদেহ তিন্দু ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মংখ্যং পাড়া সংলগ্ন পাথরের নালার ওপর থেকে সোমবার সন্ধ্যায় উদ্ধার হয়। তিনি একই এলাকার সুমন খিয়াংয়ের স্ত্রী।
সংবাদ সম্মেলনে জেলা প্রশাসক শামীম আরা রিনি বলেন, “সোমবার সকাল ৯টার দিকে ওই নারী জুম চাষের জন্য পার্শ্ববর্তী পাহাড়ে যান। দুপুরে পাড়ায় ফিরে না আসায় তাকে খুঁজতে শুরু করেন প্রতিবেশীরা। একপর্যায়ে তার মরদেহ দেখতে পান তারা। এটি দুর্ঘটনা নাকি হত্যাকাণ্ড সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার জন্য মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।”
আরও পড়ুনপুলিশ সুপার শহিদুল্লাহ কাওছার বলেন, “জুমচাষের পাহাড় থেকে প্রায় ৫০ ফুট নিচে মরদেহটি পাওয়া যায়। মরদেহের মুখমণ্ডল, মাথায় ও শরীরে বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় থানচি থানায় মামলা হয়েছে। প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সর্বোচ্চ গুরুত্ব ও সতর্কতার সঙ্গে ঘটনাটি তদন্ত করছে। সঠিক কারণ অনুসন্ধান করে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এলাকাবাসী জানান, সোমরাব সকালে চিংমা খিয়াং জুম ক্ষেতে ধান রোপণ করতে পাহাড়ে যান। দুপুরে ফিরে বাড়িতে ভাত খাওয়ার কথা ছিল তারা। ফিরে না আসায় পরিবারের লোকজন ও পাড়াবাসী তাকে খুঁজতে শুরু করেন। একপর্যায়ে তারা জঙ্গলে কিছু টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যাওয়ার চিহ্ন দেখতে পান। ওই চিহ্ন অনুসরণ করে পাথরের একটি নালার ওপরে চিংমা খিয়াংয়ের লাশ পান তারা।
স্থানীয়দের দাবি, ওই নারীকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। মরদেহের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন থাকায় এমন ধারণা করেন তারা।
প্রাথমিকভাবে ধর্ষণের কোনো আলামত পাওয়া গেছে কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে পুলিশ সুপার শহিদুল্লাহ কাওছার বলেন, “এ বিষয়ে এখনো কিছু বলা যাচ্ছে না। মেডিকেল রিপোর্ট আসলে বিষয়টি জানা যাবে।”
মন্তব্য করুন