ভিডিও শুক্রবার, ০২ মে ২০২৫

আরও ৮ মামলায় শ্যোন এরেস্ট শীর্ষ সন্ত্রাসী সাজ্জাদ

আরও ৮ মামলায় শ্যোন এরেস্ট শীর্ষ সন্ত্রাসী সাজ্জাদ

চট্টগ্রামে জোড়া খুনের মামলায় অভিযুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী সাজ্জাদের সাত দিনের রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেছে আদালত। 

এছাড়া তাকে নগর ও জেলার তিন থানার আরও ৮টি মামলায় গ্রেপ্তার (শ্যোন অ্যারেস্ট) দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেছে পৃথক তিন আদালত।

আজ রবিবার (১৩ এপ্রিল) দুইটার দিকে চট্টগ্রাম দ্বিতীয় মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক ইব্রাহীম খলিল জোড়া খুনের মামলায় তার সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

আদালত সূত্র জানায়, এদিন সকালে কারাবন্দি শীর্ষ এই ‘সন্ত্রাসীকে’ কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে আদালতে হাজির করে পুলিশ। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে জেলার হাটহাজারী থানার দুই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করা হয়। সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বেগম নাজমুন নাহারের আদালত তা মঞ্জুর করেন।

এছাড়া একই দিনে পুলিশের আবেদনের প্রেক্ষিতে নগরের চান্দগাঁও থানার পাঁচটি মামলায় মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ৪র্থ আদালত এবং বায়েজিদ থানার একটি মামলায় মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ৫ম আদালত তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন।

নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (প্রসিকিউশন) মফিজ উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, বাকলিয়া থানার জোড়া খুনের মামলায় পুলিশ ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে সাজ্জাদের। আদালত শুনানি শেষে সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। 

আরও পড়ুন

পাশাপাশি চান্দগাঁও এবং বায়েজিদ থানার ৬টি মামলায় আদালত সাজ্জাদের গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেছে।

চট্টগ্রাম জেলা কোর্ট পরিদর্শক হাবিবুর রহমান বলেন, ‘সাজ্জাদকে আজ দুপুরে আদালতে হাজির করে হাটহাজারী থানার দুটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করা হয়। আদালত তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দিয়েছেন। এরমধ্যে একটি হত্যা মামলা এবং অপরটি মারামারি সংক্রান্ত। তাকে হাজিরের সময় জেলা পুলিশ ও নগর পুলিশের পক্ষ থেকে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়।’

ছোট সাজ্জাদ বায়েজিদ বোস্তামী থানার হাটহাজারীর শিকারপুরের মো. জামালের ছেলে। তার বিরুদ্ধে হত্যা, অস্ত্র, চাঁদাবাজির ১৫টিরও বেশি মামলা রয়েছে। 

গত ১৫ মার্চ দিবাগত রাতে রাজধানীর বসুন্ধরা সিটি থেকে সাজ্জাদকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর ২৯ মার্চ দিবাগত রাত সোয়া ২টার দিকে বাকলিয়া থানার এক্সেস রোড এলাকায় প্রাইভেটকারে দুর্বৃত্তের গুলিতে মো. আব্দুল্লাহ ও মো. মানিক নামে দুজন নিহত হয়।


এ ঘটনায় ১ এপ্রিল বাকলিয়া থানায় নিহত মোহাম্মদ মানিকের মা ফিরোজা বেগম বাদী হয়ে সাজ্জাদ ও তার স্ত্রী শারমিনসহ পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় সাজ্জাদ ও তার স্ত্রী শারমিন তামান্নাকে হুকুমের আসামি করা হয়। 

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

৫ মে দেশে ফিরছেন খালেদা জিয়া

পাকিস্তানি কাশ্মিরে বন্ধ করা হলো সব মাদ্রাসা

বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে নিরাপত্তা জোরদার করেছে ভারত

২৬ বাংলাদেশির অভিযোগ শুনলেন ফিজির প্রধানমন্ত্রী

অনুমতি ছাড়া হজ পালন না করার অনুরোধ ধর্ম মন্ত্রণালয়ের

এবার সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের কাছে ইসরায়েলের হামলা