ভিডিও শুক্রবার, ০৯ মে ২০২৫

নওগাঁর রাণীনগরের মাঠে ইরি-বোরো ধানের সবুজের সমারহ

নওগাঁর রাণীনগরের মাঠে ইরি-বোরো ধানের সবুজের সমারহ

রাণীনগর (নওগাঁ) প্রতিনিধি : নওগাঁর রাণীনগরে বিস্তীর্ণ এলাকায় মাঠ জুড়ে এখন ইরি-বোরা ধান গাছের সবুজ রঙের বর্ণিল সমারহ। যতদূর চোখ যায় শুধু সবুজ আর সবুজ। এ সবুজ রঙ বলে দিচ্ছে গ্রাম বাংলার কৃষকের মাথার ঘাম পায়ে ফেলা ইরি-বোরা ধান চাষের দৃশ্য। চলতি মৌসুমে ইরি-বোরা ধানের ভাল ফলনের বুকভরা আশা করছে চাষিরা।

শেষ মুহূর্তে কৃষকরা ইরি-বোরো ধানের ক্ষেতে কীটনাশকসহ নানা ধরণের নিবিড় পরির্চচায় ব্যস্ত সময় পার করছে। স্থানীয় কৃষি বিভাগের পরামর্শে আধুনিক পদ্ধতিতে আগাম ধান চাষ করায় কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ এখন পযর্ন্ত হানা না দেওয়ায় রাণীনগর উপজেলায় ধানের ভাল ফলনের সম্ভবনা রয়েছে বলে কৃষি বিভাগ মনে করছেন।

রাণীনগর কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে প্রায় ১৯ হাজার হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো ধান চাষ করা হয়েছে। চলতি মৌসুমে রাণনীগর বরেন্দ্র বহুমূখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের গভীর নলকূপ ১শ’ ৮৫টি, বিদ্যুৎ চালিত ব্যক্তিগত ১১০টি, ডিজেল ২০ টি, নদী থেকে এলএলপি বিদ্যুৎ চালিত পাম্প ১৫ টি’র মাধ্যমে আবাদি ইরি-বোরো ধান ক্ষেতে সেচ প্রদান করছে।

আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় সঠিক সময়ে চারা লাগানো নিবিড় পরিচর্যা, নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ, যথাসময়ে সেচ দেওয়া, সার সংকট না থাকায় উপজেলায় চলতি মৌসুমে ইরি-বোরো ধানের ভাল ফলনের সম্ভবনা রয়েছে।

আরও পড়ুন

সরজমিনে মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, বিস্তীর্ণ মাঠ জুড়ে এখন সবুজের সমারোহ। রাণীনগরে এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত পর্যন্ত ইরি-বোরো ধান গাছের সবুজের সমারোহে বিস্তীর্ণ মাঠ দেখলে মন জুড়িয়ে যায়। চলতি মৌসুমে ইরি-বোরো ধান চাষের অনুকূল আবহাওয়া থাকাই যথাসময়ে ধান চাষ করেছে উপজেলার চাষিরা।

কৃষি অফিসের ব্যবস্থাপনায় পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় রাসায়নিক ও কীটনাশক ব্যবহারে কৃষকদের নিরুৎসাহিত করছেন মাঠ পর্যায়ে থাকা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা আইপিএম (বালাই সমন্বিত শষ্য ব্যবস্থাপনা) ক্লাবের মাধ্যমে আলোক ফাঁদে এবং বোরো ক্ষেতে কুঞ্চি ও গাছের ডাল পুঁতে পোকামাকড় নিধনে কৃষকদের উৎসাহিত করায় রোগবালাই কম দেখা যাচ্ছে।

উপজেলা কৃষি আফিসার কৃষিবিদ মোছা. মোস্তাকিমা খাতুন জানান, চলতি মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি ধান চাষ হয়েছে। ভাল ফলনের সম্ভাবনার মূল কারণ হিসেবে তিনি বলেন, কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে কৃষকদেরকে সঠিক সময়ে চারা লাগানো পরামর্শ, নিবিড় পর্যাবেক্ষণ, সার ও কীটনাশক প্রয়োগ, সার সংকট না থাকা, যথাসময়ে সেচ দেওয়া, নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ এবং আধুনিক পদ্ধতিতে ধান চাষ করায় শেষ পযর্ন্ত আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ইরি-বোরো ধানের ভাল ফলনের সম্ভবনা রয়েছে।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

‘ব্যান, আওয়ামী লীগ’ স্লোগানে উত্তাল যমুনা

যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার পাকিস্তানি দাবির বিষয়ে চুপ ভারত

চার ঘণ্টায়ও প্রধান উপদেষ্টার সাড়া পাননি আন্দোলনকারীরা

খেলার জার্সি পরে যমুনার সামনে রমনার ডিসি

পঞ্চগড়ে ছিলাম, যমুনার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছি: সারজিস

নতুন পোপ হলেন রবার্ট প্রেভোস্ট