‘প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষ করেই নির্বাচন দিতে হবে’
বগুড়ার সাতটি সংসদীয় আসনে জামায়াতের প্রার্থী ঘোষণা

স্টাফ রিপোর্টার : বগুড়ার সাতটি সংসদীয় আসনে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছে জামায়াতে ইসলামী। আজ শনিবার (৫ এপ্রিল) দুপুরে স্থানীয় শহীদ টিটু মিলনায়তনে ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কর্মী, সাথী ও সদস্যদের প্রীতি সমাবেশে এই ঘোষণা দেওয়া হয়।
ঘোষণায় বগুড়া-১ (সারিয়াকান্দি-সোনাতলা) আসনে অধ্যক্ষ শাহাবুদ্দিন, বগুড়া-২ (শিবগঞ্জ) আসনে অধ্যক্ষ শাহাদাতুজ্জামান, বগুড়া-৩ (আদমদীঘি-দুপচাচিয়া) নূর মোহাম্মদ আবু তাহের, বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) অধ্যক্ষ মাওলানা তায়েব আলী, বগুড়া-৫ (শেরপুর-ধুনট) দবিবুর রহমান, বগুড়া-৬ (সদর) আবিদুর রহমান সোহেল এবং বগুড়া-৭ (গাবতলী-শাজাহানপুর) আসনে গোলাম রব্বানীকে প্রার্থী করা হয়েছে।
জামায়াতে ইসলামীর বগুড়া জেলা আমির অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল হক সরকারের সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান। তিনি বলেন, নির্বাচন ব্যবস্থার আমূল সংস্কার ছাড়া নির্বাচন হলে চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্খার বাস্তবায়ন হবে না। তাই প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষ করেই নির্বাচন দিতে হবে।
আরও পড়ুনতিনি বলেন, যারা জামায়াত-শিবিরের দিকে চোখ রাঙানোর চেষ্টা করছেন তারা সাবধান হয়ে যান। এই দেশ কারও পারিবারিক সম্পত্তি নয়, এটি ১৮ কোটি মানুষের। দেশের মানুষ যাকে চাইবে, তারাই দেশ পরিচালনা করবে। সরকার ও বিরোধীদের সমালোচনা করে তিনি বলেন, যারা সংস্কার ছাড়া নির্বাচন চায়, তারা মূলত শেখ হাসিনার দুঃশাসনকেই ফিরিয়ে আনতে চায়। যারা নেত্রীর বাড়ির সামনে থেকে বালুর ট্রাক সরাতে সাহস পায়নি, তারাই এখন গণঅভ্যুত্থানের শহিদদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি করছে। সরকারের ভেতরে-বাইরে এখনও ফ্যাসিবাদের দোসররা সক্রিয় রয়েছে। পলাতক নেত্রীর কথায় উঁকি-ঝুঁকি মারলেও লাভ হবে না। শেখ হাসিনা ও তার দোসররা দেশে ফিরবেন শুধু ফাঁসির আসামি হিসেবেই।
সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি গোলাম রব্বানী, জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য অধ্যক্ষ শাহাবুদ্দিন, ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি দেলোয়ার হোসেন সাঈদী এবং আন্তর্জাতিক ছাত্র ও যুব ফেডারেশন (ইফসু)’র সেক্রেটারি জেনারেল ড. মোস্তফা ফয়সাল পারভেজ। এছাড়া আমন্ত্রিত অতিথি ছিলেন জামায়াতে ইসলামী বগুড়া অঞ্চলের টিম সদস্য মাওলানা আব্দুর রহীম ও অধ্যাপক নজরুল ইসলাম।
অনুষ্ঠান শেষে একটি র্যালি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে। র্যালিতে ছাত্রশিবিরের সাবেক নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করেন। পরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
মন্তব্য করুন