ভিডিও সোমবার, ০৫ মে ২০২৫

মো. রবিউস সানি জোহা

বগুড়ায় সাতমাথা টু দত্তবাড়ী ফ্লাইওভার জরুরি

বগুড়ায় সাতমাথা টু দত্তবাড়ী ফ্লাইওভার। প্রতীকী ছবি

উত্তরাঞ্চলের প্রাণকেন্দ্র বগুড়ার সম্ভাবনা ব্যাপক। শিল্প ও বাণিজ্যে উত্তরাঞ্চলের অন্যান্য জেলা অপেক্ষা অনেকখানি এগিয়ে। সঙ্গত কারণে এই শহরের গুরুত্ব অপরীসিম। একে তো এই শহরকে উত্তরাঞ্চলের গেটওয়ে হিসেবে ধরা হয়।

জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণে এই শহরের গুরুত্ব যেমন বেড়ে যাচ্ছে তেমনই যানজট তীব্র আকার ধারণ করছে। যদিও এই শহরের বুক চিরে দ্বিমুখী রাস্তা করা হয়েছে। তারপরও এটা যথেষ্ট নয়। শহরকে আরও উন্নত ও আধুনিকীকরণ করার লক্ষ্যে ব্যাপক পরিসরে চিন্তা ভাবনা করা সময়ের দাবি। সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য রাষ্ট্রীয় ভাবে পদক্ষেপ নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। অন্যথায় উত্তরাঞ্চলবাসীর সকলের ভোগান্তি বাড়তে থাকবে।

বগুড়া জেলা বাংলাদেশের উত্তর- পশ্চিমাঞ্চলের একটি শিল্প ও বাণিজ্যিক শহর। বগুড়াকে বলা হয় উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার। উত্তরের জেলাগুলোতে প্রবেশ করতে হলে এ শহরের উপর দিয়েই যেতে হয়। ৭১.৫৬ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের এ শহরটি ২১টি  ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত। এ শহরে রয়েছে উত্তারঞ্চলের শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ সরকারি আজিজুল হক কলেজ, শহিদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ, শহিদ চাঁন্দু স্টেডিয়ামসহ বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। ফলে জেলার অন্যান্য উপজেলাসহ বিভিন্ন জেলার মানুষ ক্রমাগত বসতি গড়ছে এ শহরে। ফলশ্রুতিতে মানুষ বাড়ার সাথে সাথে বাড়ছে যানবাহনের সংখ্যা।

শহরে প্রতিদিন প্রায় ৩০-৩৫ হাজারের বেশি বিভিন্ন ধরনের রিক্সা এবং ২০ হাজারেরও বেশি সিএনজি চলাচল করে। এছাড়াও বগুড়া শহরের ভেতর দিয়ে সান্তাহার থেকে লালমনিরহাট পর্যন্ত ১৭৫ কিলোমিটার এর রেলপথ রয়েছে, যা বগুড়া শহরকে দুইভাগে ভাগ করেছে। এছাড়াও শহরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় ৮টির মতো লেভেল ক্রসিং রয়েছে। শহরের ব্যস্ততম এলাকা চকযাদু ক্রসলেন, থানা রোড, রাজাবাজার, নারুলী, সাবগ্রাম দ্বিতীয় বাইপাস, সরকারি আজিজুল হক কলেজ সংলগ্ন ২টি এবং তিনমাথা রেলগেট।

ট্রেন চলাচলকালে এই লেভেল ক্রসিংগুলো বন্ধ করে দেওয়ার ফলে ১৫ - ২০ মিনিট করে সময় নষ্ট হচ্ছে। এভাবে প্রতি ট্রেনের জন্য রেলগেট বন্ধ থাকার ফলে দিনে প্রায় ৩-৪ ঘন্টা সময় নষ্ট হচ্ছে। এছাড়াও রয়েছে শহরের ফুটপাত দখল, যত্রতত্র সিএনজি চালিত অটোরিক্সা, রিক্সা, গাড়ী পার্কিং, ভ্রাম্যমাণ দোকানের বাড়তি চাপ। ফলে প্রতিনিয়ত যানজটের শিকার হচ্ছে শহরবাসী।

আরও পড়ুন

শহর জুড়ে যানজট সৃষ্টি হওয়ায় ১ মিনিটের পথ পাড়ি দিতে সময় লাগছে ১০-১৫ মিনিট। যানজটের কবলে পড়ে শিক্ষার্থী, চাকুরী প্রার্থী, এ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিসসহ জন সাধারণের জরুরি কাজে ব্যাঘাত ঘটছে। যানজট নিরসনে হিমশিম খাচ্ছে ট্রাফিক বিভাগ। তাদের প্রাণান্তকর চেষ্টা বিফলে যাচ্ছে। এ কারণেই বগুড়া শহরের সাতমাথা থেকে দত্তবাড়ী পর্যন্ত ফ্লাইওভার নির্মাণের এখনই উপযুক্ত সময়।

ফ্লাইওভার নির্মাণ করলে যানজট নিরসনসহ দ্রুত সময়ে যাতায়াত সহজতর হবে। সেইসাথে শহর থাকবে পরিষ্কার, নিরাপদ ও যানজটমুক্ত। সড়ক যোগাযোগ মন্ত্রণালয়, জেলাপ্রশাসন এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের যুগোপযোগী সিদ্ধান্তের মধ্য দিয়ে উক্ত সমস্যার সমাধান সম্ভব। যোগাযোগ ব্যবস্থা হোক সহজতর, বগুড়া হোক নিরাপদ।

 

মো. রবিউস সানি জোহা
লেখক : কলামিস্ট ও শিক্ষার্থী
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

দিনাজপুরের বিরলে সাপের কামড়ে গৃহবধূর মৃত্যু

বগুড়ার শিবগঞ্জের মহাস্থানে ঈদগাহ সংলগ্ন রাস্তার বেহাল দশা

হাসনাত আব্দুল্লাহর ওপর হামলার প্রতিবাদে রাজধানীতে এনসিপির বিক্ষোভ

বগুড়ার ধুনটে দাদন ব্যবসায়ীর মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেফতার

বগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় স্বামী-স্ত্রীকে বেঁধে লুট করার ঘটনায় চারজন গ্রেফতার

হাসনাত আব্দুল্লাহর উপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে বগুড়ায় রাতে বিক্ষোভ