ভিডিও মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই ২০২৫

তিস্তার ভাঙনে প্রতিবছর বৃহত্তর রংপুর অঞ্চলের ৪০ হাজার পরিবার বাস্তুচ্যুত 

তিস্তার ভাঙনে প্রতিবছর বৃহত্তর রংপুর অঞ্চলের ৪০ হাজার পরিবার বাস্তুচ্যুত 

রংপুর প্রতিনিধি : প্রতি বছর তিস্তার ভাঙনে বৃহত্তর রংপুর অঞ্চলের রংপুর, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট ও নীলফামারী জেলায় ৪০ হাজার পরিবার বাস্তুচ্যুত হচ্ছে। ভাঙনের ফলে এক লাখ কোটি টাকার বেশি ক্ষতি হলেও তা নিরসনে দীর্ঘদিন ধরে কোন কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় প্রতিনিয়ত দারিদ্র্যের হারও বাড়ছে। এই এলাকার মানুষের জীবনমান উন্নয়নের জন্য তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন বাস্তবায়িত হলে সম্পদ রক্ষার পাশাপাশি মানুষের জীবনমান বদলে যাবে।

তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে ১৩ হাজার ১১৬ কোটি টাকার জমি উদ্ধার হবে, বছরে ১১ হাজার ২৪০ কোটি টাকার সম্পদ রক্ষা পাবে। এছাড়া গড়ে উঠবে স্যাটেলাইট টাউন, সড়ক, বিদ্যুৎকেন্দ্র ও অর্থনৈতিক অঞ্চল, যেখানে কর্মসংস্থান হবে অন্তত ১০ লাখ মানুষের।

তিস্তা বাঁচাও, নদী বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি নজরুল ইসলাম হক্কানি বলেন, তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে নদীভাঙন থেকে যেমন মুক্তি মিলবে, তেমনই খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে এবং খাদ্য ঘাটতি মোকাবেলা করা সম্ভব হবে।

তিস্তার ভাঙনে বাড়ি-ঘর জমি হারিয়ে রংপুর নগরীর রেলগেট এলাকায় সরকারি জমিতে আশ্রয় নিয়েছে রংপুরের গংগাচড়া উপজেলার মর্ণেয়া ইউনিয়নের রুহুল আমীন। তিনি জানান, আমার প্রায় সাড়ে তিন একর ফসলি জমি, পাকাবাড়ি, গবাদিপশু সবেই ছিলো। গত ৩০ বছরে নদী ভাঙনের শিকার হয়ে সব কিছু হারিয়ে এখন রেলগেট এলাকায় আশ্রয় নিয়ে ভাঙ্গারির ব্যবসা করে পরিবার নিয়ে কোন রকমে জীবনযাপন করছেন। তার মতো নি:স্ব অনেক পরিবার এখানে আশ্রয় নিয়েছে।

আরও পড়ুন

রংপুর পানি উন্নয়ণ বোর্ডের কর্মকর্তারা জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ড ও পাওয়ার চায়না নামে একটি প্রতিষ্ঠান তিস্তা নদীর সার্বিক ব্যবস্থাপনা ও পুনরুদ্ধার প্রকল্পের একটি সমীক্ষা সম্পন্ন করলেও ভারতের হস্তক্ষেপে তা বাস্তবায়িত হয়নি।

তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক ও বিএনপির রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলু বলেন, আমরা চাই তিস্তা সংস্কার করে ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষদের পুনর্বাসন করা হোক এবং তাদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হোক। তিস্তা যেন আর দুঃখের কারণ না হয়।

প্রতিবছর তিস্তা অববাহিকায় ভাঙন ও প্লাবনে যে ক্ষতি হয় তা অকল্পনীয়। এর স্থায়ী সমাধান না হলে এখানকার মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি আসবে না। দিন দিন আরো দারিদ্রতার হার বাড়বে। বৃহত্তর রংপুর অঞ্চলের দুই কোটি মানুষের জীবন-জীবিকার স্বার্থে স্থায়ী সমাধান তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

চলতি জুলাই মাসেও চালু হচ্ছে না জবি'র ফুডকোর্ট

জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে যুবক ছুরিকাহত ২ জন গ্রেফতার

বগুড়ার শেরপুরে সাবেক কাউন্সিলর ও পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক শুভ গ্রেফতার

বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে বিশ্ব হেপাটাইটিস দিবস পালন

বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে দুটি দই ঘরের ২০ হাজার টাকা জরিমানা

দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে অগ্নিকাণ্ডে ৫টি দোকান পুড়ে গেছে