গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকটে ব্যাহত হচ্ছে চিকিৎসা সেবা

সাঘাটা (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি : গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ৩১ থেকে ৫০ শয্যায় উন্নতি হলেও বাড়েনি চিকিৎসা সেবা। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে ১৪ জন মেডিকেল অফিসারের পদ থাকলেও রয়েছে মাত্র ৩ জন। অবকাঠামোর অভাবে নতুন এক্স-রে মেশিন প্যাকেটে মোড়ানো অবস্থায় আছে। ফলে জনসাধরণের চিকিৎসা সেবা ব্যাহত হচ্ছে।
উপজেলার ১০ টি ইউনিয়নের প্রায় ৩ লক্ষ মানুষের স্বাস্থ্য সেবায় প্রধান ভরসা সাঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। কিন্তু প্রয়োজনীয় চিকিৎসক, জনবল, যন্ত্রপাতি ও অবকাঠামোর অভাবে জনসাধারণ কাঙ্খিত চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। চিকিৎসক সংকটে হাসপাতালে হচ্ছে না যে কোন অপারেশন। ফলে জনসাধারণকে ছুটতে হচ্ছে শহরের প্রাইভেট ক্লিনিক ও হাসপাতাল গুলোতে।
বড় কিছু হলেই যেতে হচ্ছে রংপুর মেডিকেল কলেজ অথবা বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। উপজেলার চরাঞ্চলসহ দূর-দূরান্তের গরীব রোগিরা চিকিৎসা সেবা নিতে এসে ভোগান্তিতে পড়েন। হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা একাধিক রোগী ও স্বজনরা জানান, চিকিৎসক না থাকা, প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা না হওয়াসহ নানা কারণে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। প্রাইভেটে চিকিৎসা নিতে বাড়তি খরচ হচ্ছে। যা অনেকের পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না।
আরও পড়ুনএকযুগ ধরে এ্যানালগ মেশিন দিয়ে চলছে এক্স-রে এর কাজ। দুই সপ্তাহ আগে নতুন এক্স-রে মেশিন আসলেও বিদ্যুৎ সংযোগে জটিলতা, উপযোগী কক্ষের অভাব ও প্রয়োজনীয় অবকাঠামো সমস্যায় তা স্থাপন করা হয়নি। এক্স-রে মেশিনের জন্য নেই প্রশিক্ষিত টেকনিশিয়ান। ডেন্টাল সার্জনের পদ থাকলেও চিকিৎসক নেই দীর্ঘদিন থেকে। প্যাথলজিক্যাল টেস্টের জন্য প্রয়োজনীয় রিএজেন্ট (কাচাঁমাল) বরাদ্দ নেই। চালাতে হয় নানা জোড়াতালি দিয়ে। হাসপাতালের বহিঃর্বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসা ঝাড়াবর্ষা গ্রামের বাসিন্দা ছাইদুর রহমান বলেন, চিকিৎসকের অভাবসহ নানা সমস্যায় সেবা ব্যাহত হচ্ছে।
যে কারণে রোগিরা বেসরকারি ক্লিনিকে যাচ্ছে। একজন ক্লিনার দিয়ে চলছে পুরো হাসপাতাল পরিষ্কারের কাজ। পুরো হাসপাতাল পরিস্কার রাখতে হিমশিম খেতে হয় তাকে। এসব বিষয়ে সাঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা: সাজিয়া আফরিন বলেন, হাসপাতালে সব ধরনের সেবা ভালো আছে। স্বাস্থ্য সেবা ধরে রাখতে পর্যাপ্ত চিকিৎসক দরকার। মাত্র তিনজন চিকিৎসক দিয়ে এতগুলো সেবা চালু রাখা কষ্টকর। দ্রুত এসবের সমাধান হবে বলে আশা করছেন।
মন্তব্য করুন