বগুড়ার ধুনটে সড়কের কাজ ফেলে ঠিকাদার লাপাত্তা

ধুনট (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়ার ধুনট উপজেলায় ভান্ডারবাড়ি-মরিচতলা হাট সড়ক নির্মাণ কাজ ফেলে রেখে প্রায় আড়াই মাস ধরে এলজিইডি’র এক ঠিকাদার লাপাত্তা হয়ে গেছে। বার বার তাগিদ দেওয়ার পরও ঠিকাদারের উদাসীনতায় ওই প্রকল্পের কাজ শেষ নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। নির্মাণ কাজের নামে বালু ও মাটি ফেলে রাখায় ওই সড়ক দিয়ে চলাচলকারী লোকজন চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে প্রকল্পের মেয়াদ।
আজ রোববার (১৯ জানুয়ারি) সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, এলজিইডি’র ঠিকাদার সড়কজুড়ে খোড়াখুড়ি করে মাটি ও বালু ফেলে রেখেছে, ফলে যোগাযোগ ব্যবস্থার বিপর্যয় ঘটেছে। ওই সড়ক দিয়ে পথচারী কিংবা কোন প্রকার যানবহন চলাচল করতে পারছে না। নির্মাণাধীন আধাকিলোমিটার ওই সড়কের বিকল্প পথ হিসেবে প্রায় তিন কিলোমিটার ঘুরে স্থানীয়দের যাতায়াত করতে হচ্ছে।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ভান্ডারবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের পশ্চিম পাশ থেকে মরিচতলা হাট সড়কের ৪৪৫ মিটার অংশ পাকাকরণের সিদ্ধান্ত নেয় এলজিইডি। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে সড়কটি নির্মাণ কাজের জন্য দরপত্র আহবান করা হয়।
দরপত্রের মাধ্যমে মেসার্স অন্তরা কনস্ট্রাকশন নামে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে ২০২৪ সালের ১৬ মে কার্যাদেশ দেওয়া হয়। সড়কটি নির্মাণ কাজের চুক্তি মূল্য ৩৭ লাখ ৭৩ হাজার ৬০৯ টাকা। চুক্তি অনুযায়ী ২০২৪ সালের ২৩ মে কাজ শুরু করে ২০২৪ সালের ১০ নভেম্বর শেষ করার কথা ছিল। কিন্তু কাজের মেয়াদ শেষ হলেও সড়কের কাজ হয়েছে মাত্র ১০ শতাংশ।
আরও পড়ুনস্থানীয়রা জানান, জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কটির কাজ শুরু হওয়ায় এলাকাবাসী অনেক খুশি হয়। কিন্তু দীর্ঘদিন রাস্তার কাজটি বন্ধ থাকায় গ্রামের লোকজনের চলাচলের অনেক অসুবিধা হচ্ছে। কাজ শুরুর আগে সড়ক দিয়ে তবু চলাচল করতে পারতাম, এখন তো চলাই দায়। কাজ বন্ধ করে ঠিকাদার উধাও।
এ বিষয়ে মেসার্স অন্তরা কনস্ট্রাকশনের স্বত্বাধিকারী জহুরুল ইসলাম বলেন, জটিল রোগে আক্রান্ত স্ত্রীর চিকিৎসা কাজে ব্যস্ত থাকায় নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করতে পারছি না। বর্তমানে পারিবারিক সমস্যা কেটে উঠেছি। তাই এলজিইডি থেকে প্রকল্পের মেয়াদ বাড়িয়ে নিয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজ শুরু করা হবে।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর উপজেলা প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম বলেন, চুক্তি অনুযায়ী ২০২৪ সালের ১০ নভেম্বর এই রাস্তার কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে ঠিকাদারের কোনো খোঁজ নেই। বার বার চিঠি দেওয়ার পাশাপাশি মুঠোফোনে যোগাযোগ করেও ব্যর্থ হয়েছি। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। চুক্তি বাতিল করে পুনরায় দরপত্র দিয়ে কাজটি শেষ করার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
মন্তব্য করুন