ভিডিও মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫

পাবনায় ১৭৩টি ইটভাটার মধ্যে ১৪৩টিই অবৈধ, এক উপজেলাতেই ৫৫টি

পাবনায় ১৭৩টি ইটভাটার মধ্যে ১৪৩টিই অবৈধ, এক উপজেলাতেই ৫৫টি। ছবি : দৈনিক করতোয়া

পাবনা প্রতিনিধি : পাবনা জেলা  শাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, জেলায় মোট ১৭৩টি ইটভাটার কার্যক্রম চলছে। যার মধ্যে মাত্র ৩০টি ইটভাটার অনুমোদন থাকলেও বাকি ১৪৩টি ইটভাটাই চলছে অবৈধভাবে। এছাড়া এক উপজেলাতেই চলছে ৫৫টি ইটভাটা। বেশিরভাগ কৃষি জমিতে অবস্থিত। প্রশাসনের তেমন পদক্ষেপ না থাকায় দেখা দিয়েছে নানা প্রশ্ন।

কোনোরকম নিয়মনীতি উপেক্ষা করে প্রশাসনের নাকের ডগায় বছরের পর বছর চলছে এসব অবৈধ ইটভাটার কার্যক্রম। এতে  হুমকির মুখে পড়েছে পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্য। এসব ইটভাটায় মাটির যোগান দিতে কাটা হচ্ছে কৃষিজমি। এতে কমছে জেলার আবাদি জমির পরিমাণ।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক সূত্র জানায়, প্রশাসনকে ম্যানেজ করে এসব কর্মকান্ডের সঙ্গে জড়িত সমাজের প্রভাবশালী ব্যক্তিরা। বিশেষ করে ইটভাটার মাটি কাটার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে মোটা অংকের অর্থের লেনদেন হয়। এছাড়াও ইটভাটার মালিকদের বিভিন্ন সংগঠনের মাধ্যমে বিপুল অর্থের যোগান যায় সংশ্লিষ্ট সকল মহলে। ফলে বারবার এইসব অবৈধ ইটভাটা বন্ধে উদ্যোগ নিলেও রহস্যজনকভাবে তা থেমে যায়।

পরিবেশবিদরা বলছেন, যেভাবে ইট পুড়িয়ে পরিবেশ নষ্ট করা হচ্ছে তাতে অতি নিকটে আমাদের ভয়াবহ পরিবেশ বিপর্যের মুখোমুখি হতে হবে। বিশেষ করে পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলাতেই রয়েছে ৫৫টি ইটভাটা। ঈশ্বরদীর লক্ষীকুন্ডা ও পাবনার হেমায়েতপুরের অবস্থা ভয়াবহ পর্যায়ে। ভাটার কালো ধোঁয়ায় আশপাশের ঘরবাড়ি, গাছপাড়া, বাগানগুলো নষ্ট হচ্ছে। পাশাপাশি কাশি-শ্বাসকষ্টসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন মানুষ।

আরও পড়ুন

কৃষি জমি উর্বরতা হারাচ্ছে এবং খাদ্য উৎপাদনে বিরূপ প্রভাব পড়ছে জানিয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, পাবনার উপ-পরিচালক ড. মো. জামাল উদ্দীন বলেন, আমাদের আবাদি কৃষি জমি কমছে। একটা ইটভাটার পাশে এখন আরেকটা হচ্ছে। স্বাভাবিকভাবেই আবাদি কৃষি জমি নষ্ট হচ্ছে। আমরা এবিষয়ে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে জানিয়েছি। এটা নিয়ে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন যদি কাজ না করে তাহলে আমাদের কিছু করার নেই।

এবিষয়ে তথ্য দিতে কিছুদিন সময় চান পরিবেশ অধিদপ্তর, পাবনার সহকারী পরিচালক আব্দুল গফুর। তবে পরিদর্শক আব্দুল মমিন বলেন, আমরা জেলা প্রশাসক স্যারের সমন্বয়ে একটা পদক্ষেপ নিচ্ছি। আমরা খুব শিগগিরই একটা এ্যাকশনে যাব ইনশাআল্লাহ।

নিয়মিত অভিযান চলছে জানিয়ে পাবনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মফিজুল ইসলাম বলেন, আমাদের তো লোকবল কম, ১৮ জনের জায়গায় মাত্র ৪ জন ম্যাজিস্ট্রট। তারপরও আমাদের অভিযান চলছে, জরিমানা করা হচ্ছে। অন্যান্য ডিপার্টমেন্ট যদি একটু মুভ করতো তাহলে ভালো হতো।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে আঠারো দিন পর মায়ের বুকে ফিরলো ছেলে

এক হাজার ফিলিস্তিনিকে হজ করাবেন সৌদি বাদশাহ

গাইবান্ধার পলাশবাড়ী পৌর এলাকা সামান্য বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতা

বগুড়ায় ভুট্টা চাষে নীরব বিপ্লব, প্রথমবার উৎপাদন ছাড়াবে ৫শ’ কোটি টাকা

নওগাঁর ধামইরহাটে লাম্পি ভাইরাসে আক্রান্ত গবাদিপশু, আতঙ্কিত কৃষক ও খামারিরা

দুর্ভোগে নাকাল কুড়িগ্রামের উলিপুর পৌরবাসী