বগুড়ার ধুনটে দাদনের টাকার জন্য শ্রমিকের গরু নিয়ে গেলেন শ্রমিক সর্দার

ধুনট (বগুড়া) প্রতিনিধি : ধুনট উপজেলায় যমুনা নদীর বাঁধে আশ্রিত আবু তালেব নামে এক শ্রমিকের বাড়ি থেকে পরিবারের শেষ সম্বল গরুটি জোরপূর্বক নিয়ে গেছেন শ্রমিক সর্দার ও তার লোকজন। সস্তায় অগ্রিম শ্রম বিক্রয় করে নেওয়া দাদনের ১০ হাজার টাকার জন্য আবু তালেবের প্রায় ৬০ হাজার টাকা দামের গরু নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় ওই শ্রমিকের বাবা বাদি হয়ে গতকাল শনিবার থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। আবু তালেব উপজেলার ভান্ডারবাড়ি গ্রামে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে আশ্রিত শুকুর আলী ওরফে পাগাইলার ছেলে। অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আবু তালেব যমুনা নদীতে সর্বস্ব হারিয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে ভান্ডারবাড়ি বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে আশ্রয় নিয়েছে। আবু তালেব দিনমজুরের কাজ করে পরিবার পরিজন নিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে।
এ অবস্থায় প্রায় ৫ মাস আগে যমুনা নদীর তীর রক্ষা প্রকল্পের কাজে অগ্রিম শ্রম বিক্রি করে আবু তালেব একই এলাকার ভুতবাড়ি গ্রামের শ্রমিক সর্দার আল-আমিনের কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা দাদন নেয়। কিন্তু আল-আমিনের কাজ করে টাকা শোধ দিতে পারেনি আবু তালেব। বিষয়টি নিয়ে ৭ সেপ্টেম্বর উভয় পরিবারের মধ্যে বৈঠক হয়ে আবু তালেব ১০ হাজার টাকা পরিশোধ করে।
আর অবশিষ্ট টাকা দুই কিস্তিতে পরিশোধ করার প্রতিশ্রুতি দেয়। কিন্ত সময় মতো সেই টাকা পরিশোধ করতে পারেনি আবু তালেব। এ কারণে শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টায় আবু তালেবের বাড়ি থেকে গরুটি নিয়ে যায় আল-আমিন ও তার লোকজন। এ ঘটনায় আবু তালেবের বাবা শুকুর আলী বাদি হয়ে আল-আমিন ও তার ছেলে জানে আলমের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছে।
আরও পড়ুনএ বিষয়ে শ্রমিক সর্দার আল-আমিন বলেন, শ্রমিকের কাজ করে দেওয়ার কথা বলে অগ্রিম টাকা নিয়ে কাজও করে দেয়নি, টাকাও দিচ্ছে না। অনেক দেন-দরবার করে কাজ হয়নি। তাই আবু তালেবের বাড়ি থেকে গরু নিয়ে এসেছি।
সে টাকা পরিশোধ করে গরুটি ফেরত নিয়ে যাবে। ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইদুল আলম বলেন, অভিযোগটি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য একজন পুলিশ (এসআই) কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
মন্তব্য করুন