বগুড়ার ধুনটে কলাবাগানে বস্তায় আদা চাষে সফলতার স্বপ্ন বুনছেন মামুন মিয়া

ধুনট (বগুড়া) প্রতিনিধি : কলাবাগানে বস্তায় আদা চাষে লাভের আশা করছেন বগুড়ার ধুনট উপজেলার কাদাই গ্রামের নবীন কৃষি উদ্যোক্তা মামুন মিয়া। এ উপজেলায় মিশ্র এই পদ্ধতিতে কলা চাষ শুরু করেছেন তিনি।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, নবীন কৃষি উদ্যোক্তা প্রথমে পাঁচ বিঘা জমিতে গড়ে তোলেন কলারবাগান। কলার পাশাপাশি ইউটিউব দেখে আদা চাষেও উদ্বুদ্ধ হন তিনি। এই কলাবাগানে এক গাছ থেকে অন্য গাছের মধ্যবর্তী ফাঁকা জায়গাগুলো অব্যবহৃত থাকে। এই ফাঁকা জায়গা ব্যবহার করে বস্তায় আদা চাষ করা হয়েছে। বাগানে সিমেন্ট ও সারের বস্তায় কলা গাছের ফাঁকে ফাঁকে পতিত জমিতে সারি সারি আদার গাছ সবুজ বাগানে সেজেছে।
এভাবে আদা চাষে সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো পতিত জমিতে সীমিত খরচ আর অল্প শ্রম। প্রতিটি বস্তায় ছাই, জৈব সার ও বালু মিশ্রিত মাটিতে রোপণ করা হয়েছে দু’টি আদার চারা। একেকটি বস্তায় প্রায় দেড় কেজি পর্যন্ত আদা পাওয়া যাবে। প্রতি বস্তায় আদা রোপণ থেকে পরিপক্ব হওয়া পর্যন্ত ৩০ থেকে ৪০ টাকার মতো খরচ হয়। তাই এটি লাভজনক চাষ পদ্ধতি।
আরও পড়ুনআদা গাছে পানির চাহিদা অনেক কম। আবার সার বা কীটনাশক ব্যবহার করতে হয় খুবই কম। মাঝেমধ্যে পাতা মরা রোগ প্রতিরোধে কিছু ওষুধ স্প্রে করতে হয়। এর বাইরে তেমন কোনো পরিচর্যা করতে হয় না। বস্তা পদ্ধতিতে আদা চাষ সম্পূর্ণ ঝুঁকিমুক্ত, কারণ অতিবৃষ্টি, খড়াসহ যে কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগে এই আদার ক্ষতি করতে পারে না। দ্রুত অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া যায়। এছাড়া অল্প খরচেই বেশি আদা চাষ করা সম্ভব।
ধুনট উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নুর নাহার বলেন, এই পদ্ধতিতে কলার সাথে আদা চাষে জমির চেয়ে রোগবালাইয়ের আক্রমণ হয় কম। বস্তায় আদা চাষে কীটনাশক ও পানি লাগে অনেক কম। ফলে যেকোনো স্থানে এভাবে আদা চাষ করা সম্ভব। কেউ যদি এভাবে আদা চাষ করতে চায়, তাহলে আগ্রহীদের প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ দেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন