ভিডিও বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ ২০২৫

বহদ্দারহাট ফ্লাইওভার দুর্ঘটনার মামলার রায়ে ৮ আসামির ৭ বছরের কারাদণ্ড

বহদ্দারহাট ফ্লাইওভার দুর্ঘটনার মামলার রায়ে ৮ আসামির ৭ বছরের কারাদণ্ড

নিউজ ডেস্ক: চট্টগ্রামের বহদ্দারহাট ফ্লাইওভারের গার্ডার ধসে ১৩ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার রায়ে ৮ আসামির প্রত্যেককে ৭ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। 

বুধবার (১০ জুলাই) চট্টগ্রামের চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শরীফুল আলম ভূঁঞার আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।

কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান মীর আখতারের সে সময়ের প্রকল্প ব্যবস্থাপক গিয়াস উদ্দিন, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মনজুরুল ইসলাম, প্রকল্প প্রকৌশলী আব্দুল জলিল, আমিনুর রহমান, আব্দুল হাই, মো. মোশাররফ হোসেন রিয়াজ, মান নিয়ন্ত্রণ প্রকৌশলী শাহজান আলী ও রফিকুল ইসলাম। 

রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের বেঞ্চ সহকারী ওমর ফুয়াদ। রায় ঘোষণার সময় ৮ আসামিই আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাদের সাজা পরোয়ানামূলে কারাগারে পাঠানো হয়।

আদালত সূত্রে জানা যায়, বিচারিক প্রক্রিয়ায় মামলাটিতে সাক্ষ্য দিয়েছেন ২২ জন। আসামিপক্ষে সাফাই সাক্ষী দিয়েছেন ৭ জন। সবশেষ গত ২৫ জুন মামলার দুই পক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে আজ (বুধবার) রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেছিলেন আদালত। রায়ে মামলার একটি ধারায় প্রত্যেককে ৫ বছরের কারাদণ্ড ও ৩ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ৬ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এছাড়া অন্য একটি ধারায় প্রত্যেককে ২ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন

নগরের বহদ্দারহাট এলাকায় ২০১২ সালের ২৪ নভেম্বর নির্মাণাধীন ফ্লাইওভারের গার্ডার ধসে ১৩ জন প্রাণ হারায়। এ ঘটনায় কর্তব্যে অবহেলাজনিত মৃত্যুর অভিযোগ এনে ওই বছরের ২৬ নভেম্বর চান্দগাঁও থানার তৎকালীন এসআই আবুল কালাম আজাদ ২৫ জনকে আসামি করে মামলা করেন। মামলায় ফ্লাইওভার প্রকল্পের পরিচালক চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) নির্বাহী প্রকৌশলী হাবিবুর রহমান, সহকারী প্রকৌশলী তানজিব হোসেন ও উপ-সহকারী প্রকৌশলী সালাহ উদ্দিন আহমেদ চৌধুরীসহ ২৫ জনকে আসামি করা হয়। 

অন্য আসামিদের মধ্যে ছিলেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মীর আখতার অ্যান্ড পারিসা ট্রেড সিস্টেমসের ১০ জন এবং বেসরকারি পরামর্শক প্রতিষ্ঠান এসএআরএম অ্যাসোসিয়েটসের ১২ জন। তদন্ত শেষে ২০১৩ সালের ২৪ অক্টোবর পুলিশ আট জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এতে সিডিএর তিন কর্মকর্তা, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ তিনজন এবং পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ মতিনসহ ১৮ জনের নাম বাদ দেওয়ার সুপারিশ করেন তদন্ত কর্মকর্তা।

২০১৪ সালের ১৮ জুন তৎকালীন চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ এস এম মজিবুর রহমান অভিযোগপত্র গ্রহণ করে আট আসামির বিরুদ্ধে বিচার শুরুর আদেশ দেন। 

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে রোহিঙ্গা সংকচের প্রস্তাব গৃহীত 

বিএফএ সম্মেলনে বক্তব্য রাখবেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস 

বগুড়ায় শহীদ চাঁন্দু স্টেডিয়ামে ডিসি-এসপির সালাম গ্রহণ ও কুচকাওয়াজ

শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের চার শিক্ষার্থীকে শাস্তি

যশোর সরকারি মুরগি প্রজনন ও উন্নয়ন খামারে বার্ড ফ্লু শনাক্ত

সুনামগঞ্জ  দুই সীমান্ত এলাকা থেকে ভারতীয় শাড়ি-ফুচকা জব্দ