ধুনট (বগুড়া) প্রতিনিধি : আট দিনের ব্যবধানে বগুড়ার ধুনট হাসপাতাল রোডে অবস্থিত মা ফাতেমা (রা.) জেনারেল হাসপাতাল এ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভুল চিকিৎসায় ছানোয়ারা খাতুন (৫৫) নামে আরও এক রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।
আজ মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুরের পর এ ঘটনার একটি ভিডিও চিত্র সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে (ফেসবুক) ভাইরাল হলে বিষয়টি সংবাদকর্মীদের নজরে আসে। এর আগে গত সোমবার বিকেলে ওই ক্লিনিকে ছানোয়ারা খাতুনের মৃত্যু হয়। ছানোয়ারা খাতুন সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার ঠেকুরিয়া গ্রামের মজিবর রহমানের স্ত্রী।
রোগীর স্বজনরা জানান, ছানোয়ারা খাতুনকে পেট ব্যাথা ও বমি বমি উপসর্গ নিয়ে রোববার সন্ধ্যার দিকে ওই ক্লিনিকে ডা. মো. আসাদুজ্জামান নূরের তত্ত্বাবধায়নে ভর্তি করানো হয়। চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে রোগীর পিত্তথলিতে পাথর থাকার কারণে রোগীকে অস্ত্রোপচারের পারমর্শ দেওয়া হয়। কিন্তু আর্থিক সংকটের কারণে রোগীকে অস্ত্রোপচার করাতে রাজি হননি স্বজনরা।
এ অবস্থায় ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভুল চিকিৎসার কারণে শ্বাসকষ্ট হয়ে ছানোয়ারা খাতুন মারা যান। এ ঘটনার ভিডিও চিত্রটি এ লোহানী ও শফিকুল ইসলাম নামে ফেসবুক থেকে পোস্ট করা হলে মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়ে পড়ে। ওই ভিডিও চিত্রে মারা যাওয়া ছানোয়ারা খাতুনের মেয়ে শেফালী খাতুন এ ঘটনার বিচার দাবি করেন।
তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে মা ফাতেমা (রা.) জেনারেল হাসপাতাল এ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের পরিচালক শামীম হোসেন বলেন, পেট ব্যাথা ও বমি বমি উপসর্গ নিয়ে ভর্তি হওয়া ছানোয়ারার পিত্তথিলতে পাথর শনাক্ত হয়। তার অপারেশন করা প্রয়োজন।
কিন্তু রোগীর স্বজনরা আর্থিক সংকটের কারণে অপারেশন করাতে না চাইলে ছানোয়ারাকে ক্লিনিক থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়। এসময় বাড়িতে যাওয়ার প্রস্তুতিকালে ছানোয়ারা মারা যান। পরে তাদের ম্যানেজ করে বাড়িতে পাঠানো হয়। তবে কী কারণে ছানোয়ারা মারা গেছেন তা সঠিক করে বলতে পারছি না।
এ বিষয়ে ডা. মো.আসাদুজ্জামান নূরের সাথে যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায়নি। কারণ, মঙ্গলবার সকালের দিকে তিনি চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে (ভারত) গেছেন। ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. দিবাকর বসাক দৈনিক করতোয়াকে বলেন, এ ঘটনায় অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ, এর আগে গত ২ সেপ্টেম্বর রাতে ধুনট জনসেবা ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অস্ত্রোপচারের পর অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে শ্রাবনী খাতুন (১৯) নামে এক প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।