ক্রিকেট বোর্ডের নির্বাচনে সরকারের সরাসরি হস্তক্ষেপের প্রমাণ আছে

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর কেন্দ্রীয় ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহবায়ক, জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক ও কৃতী গোলরক্ষক আমিনুল হক বলেছেন, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সাম্প্রতিক নির্বাচনে সরকারের প্রত্যক্ষ হস্তক্ষেপের সুস্পষ্ট প্রমাণ রয়েছে।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, সরকারের ক্রীড়া উপদেষ্টা নিজে নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করেছেন এবং বিভিন্ন কাউন্সিলরদের ডেকে সরাসরি হুমকি দিয়েছেন - যেন তারা নির্দিষ্ট প্রার্থীর পক্ষে ভোট দেন। "আমি অবাক হয়েছি, অনেক কাউন্সিলর নিজে আমাকে ফোন করে জানিয়েছেন যে, ক্রীড়া উপদেষ্টা তাদের ডেকে হুমকি দিয়েছেন। এ ধরনের আচরণ আমরা কোনোদিন কল্পনাও করিনি," বলেন আমিনুল হক।
মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর গুলিস্তানস্থ শহীদ নূর হোসেন জাতীয় ভলিবল স্টেডিয়ামে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি আয়োজিত ‘জিয়া আন্তঃবিভাগ ভলিবল টুর্নামেন্ট–২০২৫’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আমিনুল হক বলেন, “ক্রিকেট বোর্ড বাংলাদেশের সবার, এটি কোনো ব্যক্তির সম্পত্তি নয়। কিন্তু ক্রীড়া উপদেষ্টা নিজের প্রভাব খাটিয়ে বোর্ডকে ব্যক্তিগত নিয়ন্ত্রণে নিয়েছেন। তিনি প্রকাশ্যে বলেছেন, যেকোনো মূল্যে বুলবুল ভাইকে প্রেসিডেন্ট বানাবেন- এটাই প্রমাণ করে ক্রীড়াক্ষেত্রে সরকারের স্বেচ্ছাচারিতা কতটা গভীর।”
আরও পড়ুনসাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপির এই ক্রীড়া নেতা আরও বলেন, “যে চারটি ক্লাব নিয়ে শুরুতে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল, সেগুলোর প্রতিনিধিরাই এখন বোর্ডের পরিচালক হয়েছেন। এখানেই নির্বাচনের প্রশ্নবিদ্ধতা স্পষ্ট হয়ে যায়। এমনকি যেসব ক্রীড়া সংগঠক আদালতে রিট করেছিলেন, তারাও আইনি প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছেন। সবকিছু মিলিয়ে এটা একটি বিতর্কিত ও অনৈতিক নির্বাচন।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা দেখেছি- ক্রীড়া উপদেষ্টা ও এনএসসি যেভাবে সরাসরি হস্তক্ষেপ করেছেন, সেটি ক্রিকেটপ্রেমীদের মনে গভীর ক্ষোভ ও হতাশা তৈরি করেছে। একটি স্বাধীন ক্রীড়া সংস্থার নির্বাচনে সরকারের এই মাত্রার প্রভাব কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। আমাদের ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ রক্ষায় এই প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচনের প্রতিবাদ জানানো প্রয়োজন।”
আমিনুল হক জোর দিয়ে বলেন, “ক্রিকেট বোর্ডের নির্বাচন ইতিমধ্যে আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে। এটাই প্রমাণ করে, এটি একটি অস্বচ্ছ ও প্রশ্নবিদ্ধ প্রক্রিয়া ছিল। বাংলাদেশের ক্রীড়াজগতে এ ধরনের স্বেচ্ছাচারিতা স্পোর্টসম্যানশিপের পরিপন্থী এবং তা কখনোই মেনে নেওয়া যায় না।”
মন্তব্য করুন