আ.লীগ নেতা চন্দনের পাসপোর্ট জব্দ ও দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

আজ সোমবার (৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ জহিরুল কবির রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে শুনানি অন্তে ওই আদেশ দেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের পিপি অ্যাডভোকেট আব্দুল মান্নান।

আদালত সূত্রে জানা যায়, সরকার পতনের পর ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট থেকে আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় চন্দন কুমার পালের বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হতাহতের ছয় মামলার পাশাপাশি অন্যান্য মামলাও করা হয়। পরে ভারতে পালানোর চেষ্টার সময় ২০২৪ সালের ১৬ অক্টোবর বেনাপোল সীমান্তে তাকে আটক করা হয় এবং তিনি প্রায় এক বছর কারাগারে ছিলেন। চলতি বছরের ৯ সেপ্টেম্বর উচ্চ আদালত থেকে সব মামলায় জামিন পেলেও বিশেষ ক্ষমতা আইনের একটি মামলায় ফের গ্রেপ্তার দেখানো হয় বলে আদালত সূত্র উল্লেখ করেছে। সর্বশেষ গত ২৯ সেপ্টেম্বর জেলা দায়রা আদালত থেকে তিনি অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পান এবং পরদিন জেলা কারাগার থেকে মুক্তি পেলেও মুক্তির খবর জানাজানি হলে গুঞ্জন ওঠে যে তিনি জামিন নিয়ে দেশত্যাগ করেছেন।

আ.লীগ নেতা চন্দনের পাসপোর্ট জব্দ ও দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

'আওয়ামী লীগের বিচার ও নিষিদ্ধের দাবিতে' উত্তাল যমুনা

ভোলায় কোস্টগার্ডের অভিযানে অস্ত্র ও গুলিসহ আটক ৩

এই ঘটনার প্রতিবাদে গত কয়েকদিন ধরে সংবাদ সম্মেলন-পাল্টা সংবাদ সম্মেলনের পর সোমবার সকালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, জুলাই যোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যরা আদালত, পুলিশ সুপারের কার্যালয় ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের গেট অবরোধ করেন। এতে দুপুর পর্যন্ত আদালত, জেলা প্রশাসন ও পুলিশের কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ে।

সদ্য জারি আদেশের আগে সোমবার বিকেলে রাষ্ট্রপক্ষের পিপি বিশেষ আবেদনে বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন জামিনে থাকা চন্দন কুমার পাল যে কোনো মুহূর্তে দেশত্যাগ করতে পারেন। তাই তার পাসপোর্ট জব্দ ও দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা প্রয়োজন। শুনানি শেষে বিচারক রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন মঞ্জুর করে চন্দন কুমার পালের পাসপোর্ট জব্দ ও দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা আরোপের আদেশ দেন।