এআইয়ের অপপ্রয়োগ এখন বৈশ্বিক সমস্যা: ইসি সানাউল্লাহ

মিসইনফরমেশন, ডিসইনফরমেশন, সোশ্যাল মিডিয়া এবং আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্সের (এআই) অপপ্রয়োগ এখন একটি বৈশ্বিক সমস্যা বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।
তিনি বলেন, বিশ্বের অনেক ইলেক্টোরাল বডির সঙ্গে আমি মিটিং করেছি- এখন সবারই কমন কনর্সান এটি।
সোমবার (৬ অক্টোবর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সম্মেলনকক্ষে ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভার সূচনা বক্তব্য তিনি এ কথা বলেন।
ইসি সানাউল্লাহ বলেন, সর্বশেষ জার্মান নির্বাচনে ৮৮ শতাংশ ভোটার ভেবেছেন নির্বাচন ফেয়ার হবে না। দক্ষিণ আফ্রিকার নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে একটি জুম মিটিং করেছি, তারা জানিয়েছেন- গত তিনটি নির্বাচন ধরে তারা প্রস্তুতি নিয়েছে। তারা পোস্ট ইলেকশন অ্যাসেসমেন্টে করে দেখেছে, প্রতিপক্ষ- বিশেষ করে যারা সোশ্যাল মিডিয়ায় সক্রিয় ছিলেন, তারা নির্বাচন কমিশনের তুলনায় সাড়ে তিনগুণ বেশি প্রস্তুত ছিলেন। এছাড়া রোমানিয়ায় তো নির্বাচনই বন্ধ করে দিতে হয়েছিল। এটার ইন্টারভেনশন এমন জায়গায় গিয়ে ঠেকেছিল যে, একপর্যায়ে গিয়ে তারা নির্বাচনটা কনডাক্ট করতে পারেনি। এ যখন বৈশ্বিক বাস্তবতা, আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জটা আপনারাই বুঝতে পারছেন।
আরও পড়ুনআবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, বিটিআরসি চেয়ারম্যান, পুলিশ, গোয়েন্দা সংস্থা ও বিএনসিসির সঙ্গে আমরা বৈঠক করেছি। বাস্তবতা হচ্ছে, মেটা (ফেসবুক কর্তৃপক্ষ) তাদের থ্রেশহোল্ড এত নিচে নামিয়েছে যে অনেক কনটেন্টই এখন সহজে পার হয়ে যাচ্ছে। আমরা যেগুলোকে থ্রেট ভাবছি, তার অনেকগুলোই দৃশ্যমান থাকবে। তাছাড়া ৫০ শতাংশেরও বেশি সোর্স ট্রেস করা যায় না-তারা দেশের সীমানার বাইরে, ফলে তাদের কোনো বাধ্যবাধকতায় আনা যায় না। এ পরিস্থিতিতে ইসি দুটি দৃষ্টিভঙ্গি বিবেচনা করছে বলে জানান তিনি-একটি হলো গুড ফ্লো অব ইনফরমেশন। আরেকটি হলো রেস্ট্রিকটেড অ্যাপ্রোচ, অর্থাৎ সীমিত করা। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি-লিমিট করবো না। তাই এ প্রবণতা থাকবেই।
তবে কিছুটা আশার কথাও জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার। ‘মিসইনফরমেশন যত ছড়াচ্ছে, মানুষের মধ্যেও ততটা সন্দেহবোধ তৈরি হচ্ছে। মানুষ এখন চেক করে দেখে তথ্য ঠিক কি না। তিনি আরও বলেন, সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহার এরই মধ্যে আচরণবিধির আওতায় আনা হয়েছে। সাধারণ নাগরিকদের জন্য আইসিটি আইনসহ অনেক বিধান আছে। কিন্তু অনেককেই ট্রেস করা সম্ভব হবে না-এটাই বাস্তবতা। এ জায়গায় গণমাধ্যমের সহযোগিতা খুব জরুরি।
নির্বাচন কমিশন নভেম্বর থেকেই সচেতনতা সৃষ্টির উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, এ অ্যাজেন্ডাকে সামনে রেখে আমরা কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় পর্যায়ে সচেতনতা ও কাউন্টার মেকানিজম গড়ে তোলার পরিকল্পনা নিয়েছি।
মন্তব্য করুন