বগুড়ায় মিনারা খাতুনের বিরুদ্ধে জোর করে রাস্তা তৈরি করার অভিযোগ, পাল্টা সংবাদ সম্মেলন

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ময়মনসিংহ এর অধ্যাপক ড. মোছা. মিনারা খাতুন গতকাল রোববার বগুড়া প্রেসক্লাবে মিথ্যাতথ্য দিয়ে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বগুড়া পৌরসভার ১৪নং ওয়ার্ডের ছোট বেলাইল এলাকার বাসিন্দা ব্যবসায়ী মো. বোরহান উদ্দিন।
তিনি আজ সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বগুড়া প্রেসক্লাবে পাল্টা সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ২০০৮ সালে বগুড়া পৌরসভার ১৪নং ওয়ার্ডের ছোট বেলাইল গ্রামের সাইফুল ইসলাম ও আব্দুস সামাদ এর কাছ থেকে পৃথক দুইটি দলিল মূলে ১৮.২৫ শতাংশ সম্পত্তি ক্রয় করি।
ক্রয়কৃত সম্পত্তিতে বাড়িঘর ও বাগান করে বসবাস করে আসছি। আমার সাথে উল্লেখিত ব্যক্তিদের কোন বিরোধ নেই। অথচ তাদের ভাতিজি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ময়মনসিংহ এর অধ্যাপক ড. মোছা. মিনারা খাতুন কিছু দিন যাবৎ আমার ক্রয়কৃত সম্পত্তির উপর দিয়ে জোরপূর্বক যাতয়াতের রাস্তা তৈরি করার পাঁয়তারা করছেন। তিনি গত ফ্যাসিস্ট শাসনামলে ক্ষমতার প্রভাব ঘাটিয়ে নিজের পদ-পদবি বাগিয়ে নেন।
বগুড়ার তৎকালীন পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তীর প্রভাব দেখিয়ে আমার জমির উপর দিয়ে জোরপূর্বক রাস্তা বের করার জন্য বিভিন্ন যড়যন্ত্র করেছেন। এতোকিছুতেও সফল হতে না পেরে অবশেষে আমাকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করতে গত ২৮ সেপ্টেম্বর বগুড়া প্রেসক্লাবে একটি সংবাদ সম্মেলন করেছেন। যা সম্পন্ন মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।
আরও পড়ুনমো. বোরহান উদ্দিন অভিযোগ করে বলেন ওই সংবাদ সম্মেলনে তিনি নতুন করে অভিযোগ তোলেন যে, আমার সম্পত্তির উত্তর পাশে তার নিজের এবং তার এক ফুফুর সম্পত্তির মধ্য থেকে একটি রাস্তা বের করতে বাধা দিয়েছি। প্রকৃত সত্য হলো-আমার ক্রয়কৃত সম্পত্তির সাথে তার ও তার ফুফুর সম্পত্তির অবস্থান এক নয়। তার সম্পত্তি থেকে বের হওয়ার জন্য আগে থেকেই পৃথক রাস্তা রয়েছে।
এটা এলাকাবাসী সবাই জানেন। বগুড়া পৌরসভা কর্তৃপক্ষও জানে। সম্প্রতি ঢাকা-রংপুর মহাসড়ক চারলেন হওয়ার পর জায়গা-জমির মূল্য আগের তুলনায় বৃদ্ধি পেয়েছে। সে কারণে তার স্বার্থে আমার কেনা জমি, একটি গরুর খামার ও প্রাচীর ঘেরা বাগানের মধ্যদিয়ে রাস্তা বের করে দেওয়ার জন্য অন্যায় দাবি করছেন।
বোরহান উদ্দিন বলেন, অধ্যাপক ড. মোছা. মিনারা খাতুন এর দায়ের করা পৌরসভায় অভিযোগ এবং আদালতে মামলার বিষয়ে আমি নিয়মতান্ত্রিকভাবে আইনগত লড়াই করে যাবো। আদালত যে রায় দেবে আমি মাথা পেতে নিব। কিন্তু এর বাইরে তিনি যেন আমাকে অন্যায়ভাবে হয়রানি করতে না পারে এজন্য আমি প্রশাসনসহ সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।
মন্তব্য করুন