মোটরসাইকেলের লোভেই শিবগঞ্জে মা-ছেলে হত্যাকান্ড?

স্টাফ রিপোর্টার : বগুড়ার শিবগঞ্জে আলোচিত মা-ছেলে হত্যাকান্ডের ঘাতক কারা? কী কারণে একসাথে মা-ছেলেকে হত্যা করা হলো, এর রহস্যের জট খোলেনি আজ বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত। রহস্যের কুল কিনারাও পায়নি পুলিশ। ধরা ছোঁয়ার বাইরে রয়েছে ঘাতকরা। তবে একটি মোটরসাইকেলের লোভেই এই জোড়া হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
গত সোমবার গভীররাতে শিবগঞ্জ উপজেলার শিবগঞ্জ ইউনিয়নের সাদুল্যাপুর বটতলা গ্রামে নিজ বাড়িতে কুয়েত প্রবাসী ইদ্রীস প্রামানিকের স্ত্রী রানী খাতুন (৪০) ও তার ছেলে সদ্য একাদশে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থী ইমরান (১৮)কে হাত-পা বেধে জবাই করে হত্যা করে দূর্বৃত্তরা। হত্যার পর দুর্বৃত্তরা মোটর সাইকেল, সোনার গহনা এবং টাকা লুট করে নিয়ে যায়।
এ ব্যপারে শিবগঞ্জ থানার ওসি মো: শাহিনুজ্জামান বলেন, নিহতদের পরিবারের কাছের মানুষ বা কোন নিকটাত্মীয় এই হত্যাকান্ডে জড়িত থাকতে পারে এবং মোটরসাইকেলের লোভেই তাদেরকে হত্যা করা হয় বলে ধারণা করা হচ্ছে। এই জোড়া হত্যার ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একজন প্রত্যক্ষদর্শী পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, হত্যাকান্ডের রহস্য উন্মোচনে পুলিশ কাজ করছে। তিনি আশাবাদি অচিরেই খুনিরা ধরা পড়বে।
আরও পড়ুনজোড়া হত্যাকান্ডের ঘটনায় নিহত ইমরানের বাবা রফিকুল ইসলাম মঙ্গলবার বাদি হয়ে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় একজনের নাম উল্লেখসহ কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে। স্বজনরা বলেন, এ ঘটনায় নিহত ইমরানের সাথে একই বাড়িতে বসবাস করতো একই গ্রামের মৃত খোকার ছেলে হাসান (১৫)। সে ঘটনার পর থেকে নিখোঁজ থাকলেও দুপুরের পর ফিরে আসে। পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানার হেফাজতে নিয়েছে।
বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হোসাইন মোহাম্মদ রায়হান বলেন, হত্যাকাণ্ডের কারণ ও দায়ীদের শনাক্ত করতে সব দিক বিবেচনা করে তদন্ত শুরু হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে দোষীদের আইনের আওতায় আনা হবে।
মন্তব্য করুন