বগুড়ার আদমদীঘি আইপিজে পাইলট বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারী বেতন পাচ্ছেন না

আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি : আদমদীঘি আইপিজে (পাইলট) উচ্চ বিদ্যালয়ের খন্ডকালিন ৬ জন শিক্ষক ও কর্মচারী দীর্ঘদিন ধরে তাদের পাওনা বেতন ভাতা না পেয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। জরুরি ভিত্তিতে তাদের পাওনা পরিশোধের আবেদন জানিয়েছেন ভুক্তভোগি শিক্ষক কর্মচারীরা।
জানা যায়, আদমদীঘি আইপিজে (পাইলট) উচ্চ বিদ্যালয়ের খন্ডকালিন শিক্ষক রুহুল আমিন, অফিস সহকারি বিশ্বনাখ মোহন্ত ও উম্মে হাবিবা, আয়া আকলিমা খাতুন ও পরিচ্ছন্ন কর্মি (সুইপার) রিনা বাঁশফোড়। তারা দীর্ঘ দিন যাবত ওই প্রতিষ্ঠানে খন্ডকালিন হিসাবে চাকরি করে আসছেন। প্রতিষ্ঠান পরিচালনা কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক তাদের বেতন ভাতাদি নিয়মিত প্রদান করা হতো।
তবে ২০২৪ সালের জুন থেকে গত আগস্ট পর্যন্ত খন্ডকালিন শিক্ষক রুহুল আমিনকে বেতন ভাতাদি প্রদান করা হয়নি। তেমনি অফিস সহকারি বিশ্বনাথ মোহন্তকে ২০২৪ সালের জুন থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত, উম্মে হাবিবাকে ১২ মাসের এবং আয়া আকলিমা খাতুন ও পরিচ্ছন্ন কর্মিকে রিনা বাঁশফোড় ১৬ মাস যাবত কোন বেতন ভাতাদি প্রদান করা হয়নি।
তাদের বেতন ভাতা প্রদানের জন্য বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি আদমদীঘি উপজেলা নির্বাহি অফিসার মৌখিক নির্দেশ দিলেও এখন পর্যন্ত তাদের বকেয়া বেতন দেয়া হয়নি। ফলে খন্ডকালিন শিক্ষকরা তাদের প্রাপ্য বেতন ভাতাদি না পেয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। রুহুল আমিন, জানান, বিদ্যালয় কমিটি ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের নিকট বার বার বলা সত্ত্বেও কোনো কারণ ছাড়াই এখন পর্যন্ত বেতন ভাতাদি প্রদান করা হয়নি।
আরও পড়ুনপ্রধান শিক্ষক (চলতি দায়িত্ব) প্রদীপ কুমার সাহা জানান, ম্যানেজিং কমিটির নির্দেশনা মোতাবেক খন্ডকালিন শিক্ষক ও কর্মচারিদের বেতন প্রদান সংক্রান্ত বিষয়ে বিদ্যালয়ের শিক্ষক আবু হেনা মো: এনামুল হক, শিক্ষক বাছেতুন নেছা ও অভিভাবক সদস্য নজরুল ইসলাম এই তিন সদস্য বিশিষ্ঠ ক্রয় ও অর্থ বিষয়ক উপ-কমিটি করে ৭ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ দেয়া হলে তারা ১৫ দিনেও প্রতিবেদন জমা দেননি।
ফলে তাদের বেতন প্রদানে জটিলতা দেখা দিয়েছে। মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুর রউফ জানান, খন্ডকালিন শিক্ষক কর্মচারিদের বেতন বকেয়া রাখার কোন বিধান নেই। বেতন প্রদান করবেন বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটি সেখানে অন্যান্য শিক্ষকদের কোন ভুমিকা থাকার কথা নয়।
মন্তব্য করুন