ভিডিও সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

আজ সকালের পর তিস্তার পানি বিপৎসীমার নিচে প্রবাহিত হচ্ছে

আজ সকালের পর তিস্তার পানি বিপৎসীমার নিচে প্রবাহিত হচ্ছে, ছবি: দৈনিক করতোয়া ।

গঙ্গাচড়া (রংপুর) প্রতিনিধি: উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও কয়েক দিনের অব্যাহত বৃষ্টিতে তিস্তার পানি আবারো বৃদ্ধি হয়েছে। সোমবার সকাল ৬টার দিকে দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে পানির স্তর রেকর্ড করা হয় ৫২ দশমিক ১৮ সেন্টিমিটার। যা বিপৎসীমার ৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পরে সকাল ৯ টার তথ্য অনুযায়ী তিস্তার পানি বিপৎসীমার ১ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। পানি নিয়ন্ত্রণে ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাট খুলে রেখেছে কর্তৃপক্ষ। পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা গেছে, রোববার সকাল ৬টায় তিস্তার পানি বিপৎসীমার ২৩ সেন্টিমিটার নিচে ছিল। দুপুরের পর থেকে পানি ক্রমেই বাড়তে থাকে। রাত ৯টায় তা বিপৎসীমার ৩ সেন্টিমিটার নিচে ছিল। সোমবার সকালে আরও পানি বেড়ে বিপৎসীমা অতিক্রম করে। পরে আবারো বিপৎসীমার নিচে নেমে যায়। 

হঠাৎ পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তিস্তা পাড়ের রংপুরে গঙ্গাচড়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকার মানুষজনের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের কিছু জায়গায় ইতোমধ্যেই পানি ঢুকে পড়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। 

উপজেলার নোহালী ইউনিয়নের চর বাগডহরার বাসিন্দা মোনায়েম বলেন, পানি বৃদ্ধির পর থেকে আমাদের এখানে একটি স্বেচ্ছাশ্রমের বাধঁটি করা হয়েছে তাতে ফাটল দেখা দিয়েছে। বাঁধটি ভেঙ্গে গেলে কয়েকশো একর ফসলি জমি পানিতে তলিয়ে যাবে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা বলছেন, পানির স্তর বাড়তে থাকলে চরাঞ্চল ও নিম্নভূমি প্লাবিত হতে পারে। এতে ফসলি জমি ও ঘরবাড়ির ক্ষতির শঙ্কা রয়েছে। নদীপাড়ের বাসিন্দারা গবাদিপশু ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সরিয়ে নিরাপদ জায়গায় রাখার চেষ্টা করছেন।

উপজেলার লক্ষীটারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল হাদী বলেন, গতকাল বিকেল থেকে পানি বাড়তেছে। এতে ফসলে জমি ও ঘরবাড়ির ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। পাউবোর ডালিয়া ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী অমিতাভ চৌধুরী বলেন, উজানে ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলের কারণে তিস্তার পানি ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ব্যারাজের সব জলকপাট খোলা রাখা হয়েছে।

আরও পড়ুন

এদিকে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র (বাপাউবো) জানিয়েছে, আগামী তিন দিনে (১৪ থেকে ১৭ সেপ্টেম্বর) রংপুর বিভাগের প্রধান নদীগুলো, তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমারের পানি সমতল আরও বৃদ্ধি পেতে পারে। এর মধ্যে তিস্তা ও দুধকুমার নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে। এ সময় লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর ও কুড়িগ্রাম জেলার নদীসংলগ্ন নিম্নাঞ্চলসমূহ প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। নদীপাড়ের মানুষকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। গত ২৪ ঘন্টায় রংপুরে বৃষ্টিপাত হয়েছে ৫৫ মিলিমিটার।

 

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বিদেশি চকলেটের আড়ালে ডাকযোগে আসতো ভয়ংকর মাদক এমডিএমএ

বৃষ্টির মধ্যেই প্রচারণায় রাকসু প্রার্থীরা

ইনজুরিতে সাকিব, করাতে হবে অস্ত্রোপচার

আরাকান আর্মির হাতে জিম্মি ১০৪ জেলে: বিজিবি কমান্ডার

গাইবান্ধায় কোচের ধাক্কায় ট্রাক শ্রমিক নিহত

এশিয়া কাপের স্বপ্নভঙ্গ ভারতের