নওগাঁ জেলায় ব্যাপক পরিমাণ জমিতে আউশ ধান চাষ

নওগাঁ প্রতিনিধি : নওগাঁ জেলায় বোরো এবং আমন ধান চাষের মধ্যবর্তী সময়ে ব্যাপক পরিমাণ জমিতে আউশ ধান চাষ করে লাভবান হয়েছেন কৃষকরা। বোরো ধান কেটে কৃষকরা আউশ ধানের চাষ করেছেন এবং আউশ ধান কেটে সেই জমিতে আমন মৌসুমের সুগন্ধে চিনি আতপ ধান চাষ করার প্রস্ততি চলছে।
নওগাঁ জেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, জেলায় চলতি আউশ মওসুমে কৃষকরা ৫৮ হাজার ৬৯৫ হেক্টর জমিতে আউশ ধানের চাষ করেছেন যা ধার্যকৃত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৪৫ হেক্টর বেশি। চলতি বছর উপজেলা ভিত্তিক আউশ ধান চাষের জমির পরিমাণ হচ্ছে- নওগাঁ সদর উপজেলায় ৪ হজার ৩৮৫ হেক্টর, রানীনগর উপজেলায় ৬৮০ হেক্টর, আত্রাই উপজেলায় ১ হাজার ৭৮৫ হেক্টর, বদলগাছি উপজেলায় ২ হাজার ২২৫ হেক্টর, মহাদেবপুর উপজেলায় ১৫ হাজার ২০০ হেক্টর, পত্নীতলা উপজেলায় ৬ হাজার ৭০০ হেক্টর, ধামইরহাট উপজেলায় ২ হাজার ৭১০ হেক্টর, সাপাহার উপজেলায় ৮০৫ হেক্টর, পোরশা উপজেলায় ৮৫০ হেক্টর, মান্দা উপজেলায় ১৩ হাজার ৪৫৫ হেক্টর এবং নিয়ামতপুর উপজেলায় ৯ হাজার ৯০০ হেক্টর জমিতে।
বোরো ধান কাটার পর পরবর্তী আমন ধান চাষ পর্যন্ত এসব জমি পতিতই কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর নওগাঁ’র অতিরিক্ত উপ-পরিচালক (শস্য) জানিয়েছেন, চলতি বছর পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত হওয়ার ফলে আউশ উৎপাদনে কৃষকের সেচ খরচ খুবই কম লেগেছে।
কীটনাশকের আক্রমন তেমন ছিলনা। মধ্যবর্তী ফসল হিসেবে আউশ চাষের ফলে কৃষকের ঘরে অতিরিক্ত খাদ্য সঞ্চিত হয়েছে। আবার আউশ কেটে ওই জমিতে আমন মৌসুমের সুগন্ধি চিনি আতপ ধান উৎপাদন করতে পারছেন। এর ফলে কৃষকরা বছরে তাদের জমিতে ৩টি ফসল উৎপাদন করতে পারছেন।
আরও পড়ুনক্রমবর্ধমান খাদ্য চাহিদার বিপরীতে ফসলের বহুমুখী বিকেন্দ্র্রীকরণের অংশ হিসেবে আউশ ধানের চাষ বাংলাদেশে খাদ্য সংকুলানে যথেষ্ট সহায়ক হবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
মন্তব্য করুন