মাইকিং করে চবি শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের সংঘর্ষ, আহত ৫০

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নারী শিক্ষার্থীকে দারোয়ান কর্তৃক মারধরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের সাথে সংঘর্ষে জড়িয়েছে স্থানীয়রা। এতে প্রায় অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছে।
শনিবার দিবাগত রাত ১টা ৩০ মিনিটের দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ নম্বর গেইট সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে রাত সাড়ে ৩টার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ৬ গাড়ি সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয় সংঘর্ষস্থলে।
স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থীরা গণমাধ্যমে জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সাকিফা খাতুন ২ নম্বর গেট মাছ বাজার শাহাবুদ্দিনের বাসায় ভাড়া থাকতেন। তিনি ১১টা ২০ মিনিটে বাসায় ঢুকতে চাইলে দারোয়ানের সাথে তার বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে দারোয়ান নারী শিক্ষার্থীকে মারধর করে। পরে ঘটনার প্রতিবাদ জানাতে কয়েকজন শিক্ষার্থী একত্রিত হয়ে দারোয়ানকে ধরতে ঘটনাস্থলে গেলে উত্তাপ ছড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে স্থানীয়রা মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে জড়ো হয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করেন। অন্যদিকে শিক্ষার্থীরাও চবির সোহরাওয়ার্দী হলের মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে জড়ো হয়ে সংঘর্ষে জড়ান। এতে অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন।
আরও পড়ুনচবি মেডিকেলের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মুহাম্মদ টিপু সুলতান সাংবাদিককে বলেন, বহু শিক্ষার্থী আহত অবস্থায় মেডিকেলে ভর্তি হয়েছেন। আমরা তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছি। যাদের অবস্থা খুবই গুরুতর আমরা তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফ সাংবাদিককে বলেন, আমরা রাত বারোটাতেই আমাদের একাধিক নিরাপত্তা টিম ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছি। শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকায় তাদের এক জায়গায় এনে দিক নির্দেশনা দেওয়া কঠিন হয়ে পড়েছিল। সময় মতো আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ব্যাপক উপস্থিতিও ছিল না।
মন্তব্য করুন