তরুণ উদ্যোক্তা জনি’র ব্যতিক্রমী উদ্যোগ
বগুড়ার শাজাহানপুরে বেলজিয়াম কাঠের ছায়াযুক্ত বাগানে ২ হাজার বস্তা আদা চাষ

শাজাহানপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি : এনজিও’র চাকুরি ছেড়ে কৃষি উদ্যক্তা হওয়া স্বপ্ন দেখছেন জাকির হোসেন জনি। তার বাড়ি বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার রহিমাবাদ জামতলা এলাকায়। ১২ শতক আয়তনের বেলজিয়াম গাছের বাগানে বস্তায় আদা চাষ শুরু করেছেন। ২ হাজার বস্তায় বেড়ে উঠেছে উচ্চ ফলনশীল জাতের ‘বারি আদা-২’। জনির বাবা আবু সাঈদ একজন কৃষক। কৃষক পরিবারে বেড়ে ওঠা জানি ২০১৯ সালে চাকুরি নেন একটি এনজিও’তে।
এক বছরের মাথায় চাকুরি ছেড়ে দিয়ে শুরু করেন কৃষি পণ্যের ব্যবসা। ব্যবসার একপর্যায়ে পরিচয় হয় উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা আফতাব উদ্দিনের সাথে। তার পরামর্শে কৃষি উদ্যক্তা হওয়ার স্বপ্ন দেখেন জনি। চলতি বছর পৈতৃক এক টকুরা জমিতে বেলজিয়াম কাছের বাগান শুরু করেন জনি। বেলজিয়াম গাছগুলোর শাখা-প্রশাখা ও ঘন সবুজ পাতায় ছেয়ে গেছে পুরো বাগান।
ছায়াযুক্ত ওই বাগানেই সাথী ফসল হিসেবে ২ হাজার বস্তায় উচ্চ ফলনশীল জাতের ‘বারি আদা-২’ চাষ করেন। মাটি প্রস্তুত, মসলা গবেষণা কেন্দ্র থেকে বীজ সংগ্রহ, বীজ বপন ও ফসলের পরিচর্যা সব কিছুই করা হয় কৃষি বিভাগের পরামর্শে। ফলে আদার বাগানটি অত্যন্ত আকর্ষনীয় হয়ে উছেছে। ব্যাপক সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে বাম্পার ফলনের। প্রত্যাশা করা হচ্ছে ১২ শতক জমি থেকে ২ মেট্রিক টন আদা পাওয়া যাবে।
জনি জানান, চাকুরি হলো বেকারদের জন্য ক্ষণস্থায়ী ব্যবস্থা। স্থায়ী সমাধান হলো আত্ম-কর্মসংস্থান। আর তিনি সে পথেই হাঁটছেন। আদা চাষ সম্পর্কে তিনি বলেন, ছায়াযুক্ত জমিতে সাথী ফসল হিসেবে আদা চাষ অত্যন্ত লাভজনক। শুধু আদা নয়, পরবর্তীতে উচ্চ ফলনশীল জাতের কলা এবং পেঁপে চাষের পরিকল্পনা রয়েছে তার।
আরও পড়ুনসেই সাথে আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি ও কলা কৌশল প্রয়োগ করে কিভাবে চাষিরা লাভবান হতে পারেন এবং ছায়াযুক্ত পতিত জমিগুলো ফসল উৎপাদনে কাজে লাগানো যায় তা সাধারণ কৃষকদের মাঝে ছড়িয়ে দিতেও কাজ করবেন।
উপজেলা কৃষি অফিসার আমিনা খাতুন জানান, শাজাহানপুর উপজেলার প্রতি ইঞ্চি মাটি যাতে ফসল উৎপাদনের আওতায় আসে এবং চাষিরা লাভবান হয় সে লক্ষ্যে নিরলস ভাবে কাজ করছে উপজেলা কৃষি বিভাগ। দোরগোড়ায় গিয়ে আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি ও ফসল চাষের কলা কৌশল সম্পর্কে কৃষকদের হাতে কলমে শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে। এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
মন্তব্য করুন