ব্যবহারের অভাবে বগুড়ার ধুনটে যমুনা নদীর তীরে নষ্ট হচ্ছে সরকারের অর্ধকোটি টাকার নৌকা

ধুনট (বগুড়া) প্রতিনিধি : ধুনট উপজেলায় যমুনা নদীর শহড়াবাড়ি ঘাট এলাকায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে বরাদ্দ পাওয়া একটি উদ্ধারকারী নৌকা (রেসকিউ বোট) রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে নষ্ট হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। বেওয়ারিশের মতো পড়ে থাকায় নৌকাটির গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রাংশ খোয়া যাচ্ছে।
ইউএনও অফিস সূত্রে জানা যায়, বন্যা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগকবলিত এলাকার মানুষকে দ্রুততম সময়ে নিরাপদ স্থানে নেওয়া ও ত্রাণ সহায়তা পৌঁছে যাওয়ার জন্য ২০২২ সালে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় নৌকাটি বরাদ্দ দেয়। নৌকার দৈর্ঘ্য ৫৪ ফুট ও প্রস্থ ১২ দশমিক ৫০ ফুট। ৮০ জন ধারণক্ষমতা সম্পন্ন নৌকাটি ঘণ্টায় ৭ নটিক্যাল মাইল গতিতে চলতে সক্ষম। এর মাধ্যমে বন্যা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগকবলিত এলাকার মানুষকে দ্রুত সময়ে নিরাপদ স্থানে নেওয়া যায়।
নৌকাটি বর্ষা মৌসুমে পানিতে ভেসে থাকে। আবার শুকনো মৌসুমে নদীর পাড়ে তীরে ওপর পড়ে থাকে। এভাবেই নষ্ট হচ্ছে নৌকাটি। এরই মধ্যে ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে নৌকাটি। কর্মকর্তাদের দায়িত্বহীনতার কারণে নষ্ট হচ্ছে সরকারের অর্ধকোটি টাকার সম্পদ বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের।
আজ মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায়, শহড়াবাড়ি বাঁধের পাশে নদীর তীরে নৌকাটি পড়ে রয়েছে। নৌকাটির ওপরের ছাউনি নেই। নৌকাটির জানালা ভাঙা। বিবর্ণ হয়ে গেছে নৌকাটির রং। একই অবস্থা নৌকাটির ভেতরেও। নৌকার লোহার বিভিন্ন অংশে মরিচা ধরেছে। ইঞ্জিনসহ মূল নৌকাটি অকেজো হয়ে পড়েছে। নৌকাটির ভাঙাচোরা ক্যাবিনের ভেতর মাদকদ্রব্য সেবন করছে স্থানীয় কয়েকজন যুবক।
আরও পড়ুনস্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বরাদ্দ পাওয়ার পর থেকেই নৌকাটি নদীর তীরে পড়ে রয়েছে। কখনো নৌকাটি ব্যবহার করতে দেখা যায় না। এভাবেই নৌকাটি বিকল হয়ে গেছে। পড়ে থেকেই নৌকাটি নষ্ট হয়ে গেছে। নৌকার অনেক যন্ত্রাংশও চুরি বা খোয়া গেছে। যদি ব্যবহার বা যত্ন নেওয়া হতো, তাহলে সরকারি সম্পত্তিটি রক্ষা পেত।
ধুনট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) খৃষ্টফার হিমেল রিছিল বলেন, উদ্ধারকারী নৌকাটি সংস্কার করে ব্যবহার উপযোগী করার জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে।
মন্তব্য করুন