ভিডিও মঙ্গলবার, ২৬ আগস্ট ২০২৫

১০ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি

সামিট কমিউনিকেশনের চেয়ারম্যানসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা

ছবি : সংগৃহীত,সামিট কমিউনিকেশনের চেয়ারম্যানসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা

সরকারের ১০ কোটি ২৪ লাখ ৫২ হাজার ৬৫২ টাকার রাজস্ব ফাঁকির অভিযোগে সামিট কমিউনিকেশনস লিমিটেডের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ফরিদ খানসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) দুদকের সহকারী পরিচালক মো. নাছরুল্লাহ হোসাইন বাদী হয়ে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১-এ মামলাটি দায়ের করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন।

মামলার আসামিরা হলেন— সামিট কমিউনিকেশনসের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ফরিদ খান, বিটিআরসির প্যানেল আইনজীবী খন্দকার রেজা-ই-রাকিব, বিটিআরসির সাবেক চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. মহিউদ্দিন আহমেদ, বিটিআরসির সাবেক কমিশনার (আইন) মো. আমিনুল হক বাবু, সাবেক কমিশনার (স্পেকট্রাম) শেখ রিয়াজ আহমেদ, সাবেক কমিশনার (অর্থ, হিসাব ও রাজস্ব) ড. মুশফিক মান্নান চৌধুরী ও সাবেক কমিশনার (সিস্টেমস অ্যান্ড সার্ভিসেস) মো. দেলোয়ার হোসাইন।

দুদকের অভিযোগে বলা হয়, বিটিআরসির কর্মকর্তা ও লেক্স কাউন্সিলের প্যানেল আইনজীবীর সহযোগিতায় সামিট কমিউনিকেশনস বেআইনিভাবে ১৪ কোটি ২০ লাখ ৮৮ হাজার ১৩৬টি নতুন অর্ডিনারি শেয়ার ইস্যু করে। যার মধ্যে ৯ কোটি ৪৪ লাখ ৮৮ হাজার ৯১১টি শেয়ার দেওয়া হয় সংযুক্ত আরব আমিরাতভিত্তিক গ্লোবাল এনারিং-এ, যা মুহাম্মদ আজিজ খান ও তার পরিবারের মালিকানাধীন। ৪ কোটি ৪ লাখ ৯৫ হাজার ১১৯টি শেয়ার দেওয়া হয় মরিশাসভিত্তিক প্রতিষ্ঠান সেকুওয়া ইনফ্রা টেক লিমিটেডকে। বাকি ৭১ লাখ ৪ হাজার ৪০৬টি শেয়ার দেওয়া হয় পূর্বের শেয়ারহোল্ডার মো. আরিফ আল ইসলামের অনুকূলে। এই শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে কোম্পানির মূলধন প্রায় চার গুণ বৃদ্ধি পেয়ে মোট শেয়ার সংখ্যা ৫.০৭ কোটি থেকে বেড়ে ১৯.২৮ কোটিতে পৌঁছে। ফলে, মোহাম্মদ ফরিদ খানের মালিকানা ৯৫ শতাংশ থেকে নেমে ২৫ শতাংশে আসে। অন্যদিকে, দুই বিদেশি প্রতিষ্ঠানের যৌথ মালিকানা দাঁড়ায় ৭০%-এ।

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০০১-এর ধারা ২৪ অনুযায়ী, শেয়ার হস্তান্তর বা মালিকানা পরিবর্তনের ক্ষেত্রে বিক্রিত শেয়ারের মূল্যের ৫.৫% রাজস্ব পরিশোধ করতে হয়। ২০২২ সালে একই কোম্পানির শেয়ার হস্তান্তরের ক্ষেত্রে সরকারি রাজস্ব আদায়ে ওই আইনের প্রয়োগ থাকলেও এক্ষেত্রে বিটিআরসির আইনজীবী খন্দকার রেজা-ই-রাকিব সামিট কমিউনিকেশন থেকে অবৈধ সুবিধা নিয়ে উদ্দেশ্যমূলকভাবে উক্ত ৫.৫% মূল্য পরিশোধ সামিট কমিউনিকেশনস লিমিটেডের জন্য প্রযোজ্য নয় মর্মে মতামত দেন। এই মতামতের ভিত্তিতে বিটিআরসির তৎকালীন চেয়ারম্যান ও সংশ্লিষ্ট কমিশনাররা মিলে অবৈধ সুবিধা নিয়ে শেয়ারের অনুমোদন দেন। ফলে সরকার প্রায় ১০ কোটি ২৪ লাখ টাকা রাজস্ব হারায়। 

দুদক উপপরিচালক মো. আলমগীর হোসেনের নেতৃত্বে সাত সদস্যদের একটি টিম সামিট গ্রুপের দুর্নীতি ও অনিয়মের অনুসন্ধান কাজের দায়িত্ব পালন করছে। 

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

প্রথমবার ফোবানা’য় পারফর্ম করবেন অধরা খান

বগুড়ায় ৭ কোটি টাকা ঋণ খেলাপি মামলায় ব্যবসায়ী নোবেল গ্রেফতার

চাঁপাইনবাবগঞ্জে পদ্মা নদীতে অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করলো বিজিবি

সাদাপাথর লুটের ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সিআইডির অনুসন্ধান শুরু

শ্রাবণী সায়ন্তনীর গানের এই সময়

গরুর মাংস আমদানির খবর ভিত্তিহীন: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়