প্রফেশনাল ইউনিভার্সিটি বগুড়ার দাবিদার দুইজন পাঁচ দিনের রিমান্ডে

কোর্ট রিপোর্টার : দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) গণশুনানিকালে কমিশনের নির্দেশে পুলিশে সোপর্দ প্রফেশনাল ইউনিভার্সিটি’র বগুড়ার পরিচালকসহ দুই আসামির বিরুদ্ধে প্রতারণা ও জালিয়াতিসহ আত্মসাতের অভিযোগ এনে থানায় দায়ের করা মামলায় হাজতি আসামিদের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে। তারা হলেন-শহরের কাটনারপাড়ার গোলাম রব্বানীর ছেলে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালক দাবিদার সোহেল মন্ডল (৩০) এবং একই এলাকার শহিদুল ইসলামের ছেলে আল মাহমুদ (৩৬)।
এই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই তনয় কুমার মন্ডল ওই আসামিদেরকে গত ১১ আগস্ট সোমবার আদালতে সোপর্দ করে পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করলে আদালত তাদেরকে জেলহাজতে প্রেরণ করে রিমান্ড শুনানির জন্য বুধবার দিন ধার্য্য করেন।
গতকাল বুধবার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও হাজতি আসামিদের উপস্থিতিতে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মেহেদী হাসান পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। সেইসাথে আসামিদের জমিনের আবেদন নামঞ্জুর করেন।
উল্লেখ্য, কাহালু উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামের বাসিন্দা বর্তমানে বগুড়া শহরতলীর কৈপাড়ার প্রদীপ চন্দ্রের ছেলে দুদক’র গণশুনানিতে অভিযোগকারী প্রান্ত কুমার বাদি হয়ে গত ১১ আগস্ট বগুড়া সদর থানায় ওই আসামিদের বিরুদ্ধে এই মামলা দায়ের করেন।
আরও পড়ুনঅভিযোগে বলা হয়, বাদি প্রান্ত কুমারসহ নওগাঁর বদলগাছীর এনায়েতপুরের নিতাই চন্দ্র, রানীনগরের বিলপালশার মমতা খাতুন ও সিম্বার, রোকেয়া বেগম,বগুড়ার আদমদিঘীর শান্দিরার আয়েশা সুলতানা, দুপচাঁচিয়ার বেড়গ্রামের যুথি খাতুন, বগুড়ার কৈপাড়ার বাধন কুমার দাস ও সুমন দাসরা কাটনারপাড়ায় প্রফেশনাল ইউনিভার্সিটি বগুড়ায় ভর্তি হন এবং ওই প্রতিষ্ঠান থেকে প্রদত্ত সার্টিফিকেট কোথাও মুল্যায়ন করা হয় না।
বাদি প্রান্ত এবং ওই ব্যক্তিরা দুর্নীতি দমন কমিশনের গণশুনানিতে অভিযোগ করেন। গত ১০ আগস্ট অভিযোগ শুনানিকালে আসামিরা তাদের প্রতিষ্ঠানের বৈধ কাগজপত্র দিতে না পাড়ায় কমিশনের নির্দেশে পুলিশ আসামিদেরকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। পরে এব্যাপারে প্রতারণাসহ জালিয়াতি করে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে এই মামলা দায়ের করা হয়।
মন্তব্য করুন