চাঁপাইনবাবগঞ্জের নির্মাণাধীন সেতুর পাশ থেকে বালু উত্তোলনের প্রতিবাদে মানববন্ধন

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি : চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর ও ভোলাহাট উপজেলার সংযোগ সড়কে মহানন্দা নদীর উপর ৬৩ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণাধীন ৪২৮ মিটার দীর্ঘ সেতুর পাশ থেকে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলণের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন স্থানীয়রা।
গতকাল শনিবার বিকেলে ভোলাহাটের দলদলি ইউনিয়নের বারইপাড়া ফহরম ঘাটে মানববন্ধন করেন সংশ্লিষ্ট ভোলাহাটের দলদলি ও গোমস্তাপুর বাঙ্গাবাড়ী ইউনিয়নবাসী। নদীর তীরে দাঁড়িয়ে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য রাখেন আসমাউল হোসেন, মো. হারুন, সারোয়ার জাহান, মাসুদ রানা প্রমুখ।
এ সময় বক্তারা বলেন, এখন বালু তোলার জন্য যদি সেতু ভবিষ্যতে ক্ষতিগ্রস্থ হয় বা স্থায়ীত্ব কমে যায় তবে তা হবে দু:খজনক। এমনকি দুর্ঘটনাও ঘটতে পারে। এতে নদীর দু’তীরের বাড়ি, স্থাপনা ও জমি ক্ষতির মুখে পড়তে পারে। বালু উত্তোলন নিয়ে একবার মোবাইল কোর্ট অভিযানও চালিয়েছে। জব্দ করেছে ড্রেজার। এরপরও থেমে নেই বালু তোলা। বক্তরা আরও বলেন, এ ব্যাপারে প্রশাসন ও সংশ্লিষ্টরা দ্রুত ও যথাযথ পদক্ষেপ না নিলে ভবিষ্যতে কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে।
এ ব্যাপারে সেতু নির্মাণকারী এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেন বলেন, সরকারি নিয়ম মেনে সংশ্লিষ্ট কমিটির অনুমোদনে ও জেলা প্রশাসকের অনুমতিতে ঠিকাদার বালু তুলছে। যা সেতু ও এপ্রোচ সড়কে ব্যবহার করা হচ্ছে। এই বালু তোলা অবৈধ নয়। এতে কোন ক্ষতি হবে না।
আরও পড়ুনজেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান হাবীব বলেন, এই বালু উত্তোলনে ক্ষতি হবে কিনা তা স্থানীয়দের দাবির মুখে আবারও খতিয়ে দেখা হবে। ভোলাহাটের ইউএনও মো. মনিরুজ্জামান বলেন, সেতু নির্মাণের বিষয়টি প্রকৌশলগত। বালু তোলাতে সেতুর বা এলাকাবাসীর ক্ষতি হবে কিনা তা এলজিইডি ও পাউবো ভাল বলতে পারবে। তবে যেহেতু কিছু জনগণ প্রতিবাদ করছেন তাই বিষয়টি আরেকটু গভীরভাবে খতিয়ে দেখতে পারেন।
গোমস্তাপুরের ইউএনও জাকির মুন্সি বলেন, আগে যখন অবৈধভাবে বালু তোলা হচ্ছিল তখন মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ড্রেজার জব্দ এমনকি নিয়মিত মামলাও করা হয়েছে। পরে প্রশাসনের অনুমতিতে নিয়মানুযায়ী বালু তোলা হচ্ছে। সরকারকে নির্দিষ্ট টাকা দিতে হচ্ছে। ওই বালু কি কাজে ব্যয় হচ্ছে তা দেখারও কমিটি রয়েছে। উন্নয়ন কাজে বালু তোলার নিয়ম রয়েছে। এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসনের সভায় আলোচনা করা হবে।
মন্তব্য করুন