ইসরায়েলের হামলায় ‘ফিলিস্তিনের পেলে’ নিহত

গণহত্যা চলছে ফিলিস্তিনে। যুদ্ধ শুরুর পর ইসরায়েলির বর্বরতায় শুধু গাজাতেই মারা গেছেন ৬১ হাজারের বেশি মানুষ। সেই তালিকায় এবার যোগ হল ‘ফিলিস্তিনের পেলে’খ্যাত সাবেক ফুটবলার সুলেইমান আল–ওবেইদের নাম।
গাজার দক্ষিণাঞ্চলে মানবিক সাহায্যের জন্য জনতার সঙ্গে অপেক্ষায় ছিলেন দেশটির সাবেক কিংবদন্তি এই ফুটবলার। তখন ইসরায়েলি বাহিনী হামলা চালালে প্রাণ হারান ৪১ বছরের সুলেইমান। ফিলিস্তিন ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (পিএএফ) বুধবার তাদের ওয়েবসাইটে নিশ্চিত করেছে তার মৃত্যুর খবর।
ফিলিস্তিনের পেলে’ নামের কারণে সুলেইমানের পরিচিতি ছিল বিশ্বজুড়ে। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের কিংবদন্তি এরিক ক্যান্টোনা নিজের ইনস্টাগ্রামে এই নামেই ডেকে জানালেন শোক আর প্রতিবাদ, ‘‘ফিলিস্তিন জাতীয় দলের তারকা সুলেইমান আল–ওবেইদকে ইসরায়েল হত্যা করেছে সাহায্য পাওয়ার আশায় অবস্থান করার সময়। তাকে ডাকা হত ফিলিস্তিনের পেলে নামে। তাদের আর কত গণহত্যা করতে দেব আমরা? মুক্ত হোক ফিলিস্তিন।
তার মৃত্যুতে ফিলিস্তিন ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে লিখেছে, ‘‘মানবিক সাহায্যের জন্য গাজা উপত্যকার দক্ষিণাঞ্চলে অপেক্ষমাণ মানুষের ওপর ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় শহীদ হয়েছেন সুলেইমান আল–ওবেইদ। ফিলিস্তিন ফুটবলে সুলেইমান দ্য গ্যাজেল (হরিণ), দ্য ব্লাক পার্ল (কালো মুক্তা), হেনরি অব প্যালেস্টাইন আর পেলে অব প্যালেস্টাইন ফুটবল নামে পরিচিত ছিলেন। ফুটবলের এই পেলে মারা গেছেন পাঁচ সন্তান রেখে।
আরও পড়ুনগাজায় জন্ম নেওয়া সুলেইমান পশ্চিম তীরে গিয়ে নাম লিখিয়েছিলেন ক্লাব আল আমারি ইয়ুথ সেন্টারে। সেখানে খেলেছেন ২০০৯ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত। ২০১০–১১ মৌসুমে জেতেন ফিলিস্তিনের প্রথম পেশাদার ফুটবল লিগ। আল আমারি, আল শাতিয়া হয়ে যোগ দিয়েছিলেন গাজা স্পোর্টস ক্লাবে।
দলটির হয়ে সাউদার্ন গভর্নরেটস প্রিমিয়ার লিগে ২০১৬–১৭ মৌসুমে করেন সর্বোচ্চ ১৭ গোল। আল খাদামা ক্লাবের হয়েও লিগে সর্বোচ্চ গোলদাতা হন পরের মৌসুমে। জাতীয় দলে খেলেন ২০০৭ থেকে ২০১৩ পর্যন্ত।
পিএএফ জানিয়েছে, ফিলিস্তিনে খেলাধুলা ও স্কাউটিং–সংশ্লিষ্ট পরিবারে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৬৬২তে। ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন–সংশ্লিষ্ট মারা গেছেন ৩২১ জন। তাদের অন্যতম খেলোয়াড়, কোচ, প্রশাসক, সংগঠক, রেফারি ও ক্লাবের বোর্ড সদস্য।
মন্তব্য করুন