তাবলিগের বিবাদ নিরসনে সচিবের নেতৃত্বে কমিটি হবে : ধর্ম উপদেষ্টা

তাবলিগ জামাতের দুই পক্ষের বিবাদ মেটাতে একজন অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের প্রতিনিধি নিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন।
বুধবার (৩০ জুলাই) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে তাবলিগের দুই পক্ষের সঙ্গে বৈঠক শেষে উপদেষ্টা এ কথা জানান। বৈঠকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদা বখস চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
উপদেষ্টা বলেন, ‘কমিটিতে দুই পক্ষ তাদের প্রতিনিধি থাকবেন।
আশা করি এই কমিটির মাধ্যমে উভয় গ্রুপ একটি সমঝোতায় উপনীত হতে পারবে। সামনে সংঘাতের পথ বন্ধ হয়ে যাবে। আমরা এটাই চাচ্ছি।’
তিনি বলেন, ‘তাবলিগ জামাতের দুই গ্রুপ অনেকদিন ধরে আমাদের সঙ্গে বৈঠক করতে চাচ্ছিলেন আমরা সময় দিতে পারছিলাম না।
আজকে তাদের সঙ্গে বৈঠকের দিন নির্ধারিত ছিল। যদিও সময় আলাদা আলাদা ছিল। কিন্তু আমরা একসঙ্গে বৈঠক করেছি। বৈঠকে দুই গ্রুপের সম্মানিত মুরুব্বিরা ছিলেন।
’
‘কিছু সমস্যা দুই গ্রুপের মধ্যে আছে সেগুলোকে সহনীয় পর্যায়ে আনার জন্য অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে আমরা কথা বলেছি। আগামী দিনে তাদের সঙ্গে আরো বৈঠক করব। একটু কাছাকাছি নিয়ে আসা। আপনারা জানেন গত বছর একটা হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হয়েছে। এ রকম পরিস্থিতি যাতে আগামী দিনে পুনরাবৃত্তি না ঘটে, এ ব্যাপারে উভয়পক্ষের সহযোগিতা চেয়েছি।
খালিদ হোসেন বলেন, ‘২০২৪ সালে আমরা যখন বারবার বৈঠক করেছি, উভয় গ্রুপ একসঙ্গে বসতে সম্মত ছিলেন না। এটাই প্রথম উভয় গ্রুপ দুজন উপদেষ্টার সঙ্গে বসে আলাপ-আলোচনা করার সুযোগ করে দিল।’
দুই গ্রুপ একসঙ্গে ইজতেমা করবেন কি না- এ বিষয়ে জানতে চাইলে ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা অতদূর পর্যন্ত এখনো পৌঁছেনি। এগুলো আলাপ-আলোচনা সাপেক্ষে হবে।’
উপদেষ্টা আরো বলেন, ‘আগামীতে নির্বাচনের একটা প্রস্তুতি চলছে সরকারের। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ব্যস্ততা বেশি। আমার মন্ত্রণালয়ের অনেক কাজ অসম্পূর্ণ রয়েছে। আমরা একটু গুছিয়ে নিতে চাই। আমাদের সময় স্বল্পতা রয়েছে এটা নিয়ে সময় দিতে পারছি না। আমরা যদি একটা কমিটি গঠন করে দেই তাহলে ওনারা দুই গ্রুপ কমিটির সঙ্গে বসবেন। দুই গ্রুপ যদি একটি সমঝোতায় আসতে পারেন বা ঐক্যমতে উপনীত হন, তাহলে আমাদের কাছে রেফার করলে আমরা সেটা ফাইনালি দেখব, অনুমোদন দেব।’
তিনি বলেন, ‘ইজতেমা একসঙ্গে করা, কাকরাইল মসজিদ- এসব বিষয় নিয়ে কমিটির আলোচনা করে যে ফলাফল বেরিয়ে আসবে সেটাই আমরা বিবেচনা করব।’
মন্তব্য করুন