নাটোরের বড়াইগ্রামে জমির মালিকানা দ্বন্দ্বে জামায়াত বিএনপির ৪ জন গ্রেফতার

বড়াইগ্রাম (নাটোর) প্রতিনিধি : নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলায় জমির মালিকানা দ্বন্দ্বে ১০টি দোকানে তালা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় উপজেলার আহম্মেদপুর বাজারে ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় জামায়াত বিএনপির নেতাকর্মীসহ ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) তাদের আদালতে পাঠানো হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলো উপজেলার আহম্মেদপুর গ্রামের মৃত বন্দে আলীর ছেলে মুজিবুর রহমান (৬৫), তার ছেলে জোয়াড়ী ইউনিয়নের তিন নম্বর ওয়ার্ড জামায়াতের সভাপতি রুহুল আমিন (৪৫), তার ভাই বিএনপিকর্মী হায়দার আলী (৪৮) ও জামায়াতকর্মী আজিমউদ্দিন (৪০)।
স্থানীয়রা জানায়, আহম্মেদপুর গ্রামের মুজিবুর রহমানের সাথে প্রতিপক্ষ নওপাড়া গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম, কোরবান আলী, শাহ আলমের ৬ শতাংশ জমি নিয়ে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। বিষয়টি সমাধানের জন্য গতকাল সোমবার এ বিষয়ে সালিশ বৈঠক হওয়ার কথা থাকলেও শেষ মুহুর্তে তা বন্ধ হয়ে যায়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মুজিবুর রহমানের ছেলেরা বিবাদমান জমিতে থাকা ১০টি দোকানে তালা দেন। পরে খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ৪ জনকে গ্রেফতার করেন এবং তালা খুলে দেন।
নওপাড়া গ্রামের শাহ আলম বলেন, আমরা ক্রয়সূত্রে এ জমির মালিক। জমি কিনে সেখানে আমরা দোকান করেছি। কিন্তু তারা এ জমি তাদের বলে দাবি করে দোকানে তালা দিয়েছে। পরে বিকেলে সেনাবাহিনী ও বড়াইগ্রাম থানা-পুলিশ অভিযান চালিয়ে চারজনকে গ্রেফতার করেছে।
আরও পড়ুনঅপর ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলম বলেন, দোকানের দখল না পেয়ে তারা মাসিক ৫ হাজার টাকা করে চাঁদা চেয়েছে। চাঁদা দিতে রাজি না হওয়ায় তারা দোকানে তালা দিয়েছে। এদিকে গ্রেফতারের আগে জামায়াত নেতা রুহুল আমিন বলেন, ওই জমি আমাদের। তারা ২২ শতক জমি কিনেছে, কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে আমাদের ৬ শতকসহ পুরো জমি দখল করে রেখেছেন।
আমরা জমি না ছাড়লে দোকানের ভাড়ার টাকা দিতে বলেছিলাম, চাঁদা নয়। বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. গোলাম সারোয়ার হোসেন বলেন, জাহাঙ্গীর আলম বাদি হয়ে দোকানে তালা দেওয়া ও চাঁদা দাবির অভিযোগে থানায় মামলা করেছেন। এ ঘটনায় চারজনকে গ্রেফতার করে আজ মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন