ভিডিও মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই ২০২৫

দিনাজপুরে প্রায় পৌনে ৩ লাখ হেক্টর জমিতে রোপা আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে ব্যস্ত কৃষক

দিনাজপুরে প্রায় পৌনে ৩ লাখ হেক্টর জমিতে রোপা আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে ব্যস্ত কৃষক

দিনাজপুর জেলা প্রতিনিধি : চলতি আমন মৌসুমে খরিফ-১ এ ২ লাখ ৭০ হাজার ৫৫০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে জেলা কৃষি বিভাগ। জেলায় এ পর্যন্ত আগাম জাতের ১ হাজার ২শ’ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধানের চারা রোপণ করা হয়েছে। বর্তমানে জেলার প্রতিটি উপজেলায় কৃষকরা আমন ধান চাষের জন্য বীজতলা তৈরিতে ব্যস্ত।

দিনাজপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো. আফজাল হোসেন বলেন, জেলায় চলতি মৌসুমে ২ লাখ ৭০ হাজার ৫৫০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এরমধ্যে রয়েছে উচ্চ ফলনশীল জাতের ২ লাখ ৩৬ হাজার ২৫০ হেক্টর, হাইব্রিড জাতের ২৫ হাজার ১৫০ হেক্টর ও স্থানীয় জাতের জন্য রয়েছে ৯ হাজার ১৫০ হেক্টর। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে প্রায় সাড়ে ৭ লাখ টন চাল।

এ পর্যন্ত জেলায় প্রায় ১ হাজার ২শ’ হেক্টর জমিতে আগাম জাতের আমন ধান রোপণ হয়েছে বলে জানিয়েছে কৃষি বিভাগ। রোপা আমন চাষের জন্য উপজেলা ভিত্তিক লক্ষ্যমাত্রাও নির্ধারণ করা হয়েছে।

এরমধ্যে দিনাজপুর সদর উপজেলায় ২৫ হাজার ৫শ’ হেক্টর, বিরল উপজেলায় ২৪ হাজার ৫শ’ হেক্টর, বোচাগঞ্জ উপজেলায় ১৭ হাজার ৬শ’ হেক্টর, কাহারোল উপজেলায় ১৪ হাজার ৭শ’ হেক্টর, বীরগঞ্জ উপজেলায় ২৪ হাজার ৩৫০ হেক্টর, খানসামা উপজেলায় ১৪ হাজার ৪শ’ হেক্টর, চিরিরবন্দর উপজেলায় ২৪ হাজার ৪শ’ হেক্টর, পার্বতীপুর উপজেলায় ২২ হাজার ৭৫০ হেক্টর, ফুলবাড়ী উপজেলায় ২৪ হাজার ৫৫০ হেক্টর, বিরামপুর উপজেলায় ২৪ হাজার ৫৫০ হেক্টর, নবাবগঞ্জ উপজেলায় ২৪ হাজার ৫৫০ হেক্টর, হাকিমপুর উপজেলায় ১২ হাজার ১৫০ সেক্টর ও ঘোড়াঘাট উপজেলায় ১৭ হাজার ৩৫০ হেক্টর।

আরও পড়ুন

কৃষি বিভাগ জানায়, জেলায় চলতি আমন মৌসুমে রোপা আমন চাষ সফল করতে ১০ হাজার ৫৫০ হেক্টর জমিতে বীজতলা তৈরি করা হয়েছে। চলতি জুলাই মাসের প্রথম থেকেই জেলায় আগাম জাতের আমন ধান রোপণ কার্যক্রম শুরু করেছে কৃষকরা।

কৃষি বিভাগ আরও জানায়, চলতি আমন মৌসুমে আমন ধানের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের লক্ষ্যে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। এ জন্য বিএডিসি বিভাগ কৃষকদের চাহিদা অনুযায়ী রাসায়নিক সার তাদের গুদামে আগাম মজুদ রেখেছে। বিএডিসি তালিকাভুক্ত জেলায় রাসায়নিক সারের ডিলারদের মধ্যেই তাদের চাহিদা অনুযায়ী ইউরিয়া, ডিওপি, টিএসপি এবং এমওপি সার সরবরাহ করা হয়েছে।

প্রত্যেক ডিলারের অধীনে ৩ জন করে সাব ডিলার রয়েছে। কৃষকদের আমন চাষে রাসায়নিক সারের কোনো ধরনের ঘাটতি না হয় এজন্য বাজারে সারের অবাধ সরবরাহ ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

চলতি জুলাই মাসেও চালু হচ্ছে না জবি'র ফুডকোর্ট

জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে যুবক ছুরিকাহত ২ জন গ্রেফতার

বগুড়ার শেরপুরে সাবেক কাউন্সিলর ও পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক শুভ গ্রেফতার

বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে বিশ্ব হেপাটাইটিস দিবস পালন

বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে দুটি দই ঘরের ২০ হাজার টাকা জরিমানা

দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে অগ্নিকাণ্ডে ৫টি দোকান পুড়ে গেছে