থাইল্যান্ডের হাসপাতালে কম্বোডিয়ার রকেট হামলায় নিহত অন্তত ১২

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : থাইল্যান্ডের সীমান্তবর্তী প্রদেশ বান নাম ইয়েনের একটি সামরিক স্থাপনা এবং বেসামরিক একটি হাসপাতালে রকেট হামলা চালিয়েছে কম্বোডিয়ার সেনাবাহিনী। এতে অন্তত ১১ জন বেসামরিক এবং এক জন সেনা সদস্য নিহত হয়েছেন।
এক বিবৃতিতে থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিশ্চিত করেছে এ তথ্য। দেশটির এক সেনা কর্মকর্তা বলেছেন, কম্বোডিয়া সেনাবাহিনীর ছোড়া রকেটগুলো ছিল বিএম ২১ ঘরানার বিস্ফোরক রকেট। থাইল্যান্ডের স্বাস্থ্য এবং পররাষ্ট্র-উভয় মন্ত্রণালয় থেকে এ হামলার নিন্দা জানানো হয়েছে এবং সেই সঙ্গে বেসামরিক এলাকায় হামলা করা থেকে বিরত থাককে সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, এমারেল্ড ট্রায়াঙ্গল বা পান্না ত্রিভূজ নামের একটি এলাকা নিয়ে গত বেশ কয়েক দশক ধরে দ্বন্দ্ব চলছে দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দুই প্রতিবেশী দেশ থাইল্যান্ড এবং কম্বোডিয়ার মধ্যে। থাইল্যান্ড, কম্বোডিয়া এবং লাওসের সীমানা মিলিত হয়েছে পান্না ত্রিভূজে এবং থাইল্যান্ড এবং কম্বোডিয়া উভয়েই এ ভূখণ্ডকে নিজেদের বলে দাবি করে আসছে। পান্না ত্রিভূজে বেশ কয়েকটি প্রাচীন মন্দির রয়েছে। কয়েক দশক ধরে সীমান্ত সংঘাতের পর ১৫ বছর আগে যুদ্ধবিরতিতে গিয়েছিল দুই দেশ। কিন্তু গত মে মাসে কম্বোডিয়ার এক সেনা থাই সীমান্তের কাছে নিহত হওয়ার পর ফের উসকে ওঠে উত্তেজনা।
আরও পড়ুনগতকাল বুধবার কম্বোডিয়া সীমান্তের কাছে ল্যান্ড মাইন বিস্ফোরণে এক থাই সেনা গুরুতর আহত হন। তারপরই বৃহস্পতিবার সকালে কম্বোডিয়ার দুই সেনা স্থাপনায় বিমান অভিযান চালায় থাইল্যান্ড। সেই বিমান বাহিনীর অভিযানের জবাবে এই রকেট হামলা চালিয়েছে কম্বোডিয়ার সেনাবাহিনী। থাই বিমান হামলার পর কম্বোডিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রালয় এক বিবৃতিতে বলেছিল, এই অভিযানে ‘সমুচিত’ জবাব দেবে কম্বোডিয়া। সূত্র : বিবিসি, সিএনএন, দ্য গার্ডিয়ান
মন্তব্য করুন