ফিরে দেখা: ২১ জুলাই ২০২৪

স্বাধীনতা-পরবর্তী বাংলাদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পালাবদলের মুহূর্ত ২০২৪ সালের জুলাই। আজ ২১ জুলাই। সরকার পক্ষের আপিল আবেদনের ভিত্তিতে এ দিন প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন সাত সদস্যের বেঞ্চ সরকারি চাকরিতে কোটা নিয়ে হাইকোর্ট বিভাগের রায় বাতিল করেন। একইসঙ্গে আপিল বিভাগ সরকারি চাকরিতে মেধার ভিত্তিতে ৯৩ শতাংশ, মুক্তিযোদ্ধা/শহীদ মুক্তিযোদ্ধা/বীরাঙ্গনার সন্তানদের জন্য ৫ শতাংশ, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জন্য ১ শতাংশ এবং প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের জন্য ১ শতাংশ কোটা নির্ধারণ করে দেন। আপিল বিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ী সরকারকে প্রজ্ঞাপন জারি করতে আদেশ দেওয়া হয়।এদিন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারি বাসভবন গণভবনে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বৈঠক করে দেশের সার্বিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে নির্দেশনা দেন।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন, সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ জামান, নৌবাহিনীর প্রধান এডমিরাল নাজমুল হাসান, বিমান বাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খান ও সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসারসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে উদ্ভূত পরিস্থিতি সম্পর্কে ঢাকায় নিয়োজিত বিদেশি কূটনীতিকদের অবহিত করে সরকার। তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বিদেশি কূটনীতিকদের ব্রিফ করেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক মো. নাহিদ ইসলামকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তুলে নিয়ে নির্যাতন করে। ২৪ ঘণ্টা নিখোঁজ থাকার পর সন্ধান মেলে তার।
আরও পড়ুনপরবর্তী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ইন্টারনেট সংযোগ সচল করা, শিক্ষার্থীদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আসার ব্যবস্থা করে দিয়ে হল খুলে দেওয়া, সমন্বয়কদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং কারফিউ তুলে দিতে সরকারকে সময় বেঁধে দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ। এ সময়ের মধ্যে দাবি পূরণ না হলে নতুন কর্মসূচি দেওয়া হবে বলে ঘোষণা দেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
মন্তব্য করুন