বগুড়ার সোনাতলায় নন-টেকনিশিয়ান কবিরাজ চালাচ্ছে এক্স-রে মেশিন

সোনাতলা (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়ার সোনাতলায় কবিরাজী চিকিৎসালয়ে নন-টেকনিশিয়ান কবিরাজ চালাচ্ছে এক্স-রে মেশিন। এতে করে মানবদেহের ক্ষতিসাধন হচ্ছে। উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে কিছুদিন এ ধরনের কর্মকাণ্ড বন্ধ থাকলেও আবারও তা পুরোদমে চালু হয়েছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার জোড়গাছা ইউনিয়নের চরপাড়া এলাকায় গড়ে উঠেছে অসংখ্য কবিরাজী চিকিৎসালয়। সেই কবিরাজী চিকিৎসালয় গুলোতে চিকিৎসা দিচ্ছে ৫ম থেকে ৮ম শ্রেণি পাস করা অদক্ষ লোকজন।
তারা কবিরাজী চিকিৎসার আড়ালে এক্স-রে মেশিন চালাচ্ছে। এমনকি গাছ-গাছালি দিয়ে তৈরি করা ঔষধ মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে গ্রাম-গঞ্জের খেঁটে খাওয়া অশিক্ষিত লোকদের কাছে বিক্রি করে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে।
এ সকল কবিরাজী চিকিৎসালয়ে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সোনাতলা সহ আশপাশের উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন চিকিৎসা সেবা নিতে আসে। আজ শনিবার (৫জুলাই) সরেজমিনে ওই এলাকার দক্ষিণ চরপাড়া তিনমাথা মোড়ে গিয়ে এমন দৃশ্য চোখে পড়ে। স্থানীয়দের অভিযোগ, এ সকল কবিরাজী চিকিৎসালয়ে বিশেষ করে অদক্ষ জনবল দিয়ে চালানো হচ্ছে এক্স-রে মেশিন।
আরও পড়ুনএতে করে ওই মেশিনের আলোকরশ্মিতে মানবদেহের অপূরণীয় ক্ষতিসাধন হচ্ছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, ওই এলাকার গোলাম রব্বানী (টুল্লু) নামের এক কবিরাজ দীর্ঘদিন যাবত চিকিৎসা নিতে আসা হাত-পা, কোমড় ভাঙ্গা লোকজনদের চিকিৎসা করে আসছে। তাদের নিকট থেকে মোটা অংকের অর্থ নিতে তার ঘরে বসানো এক্স-রে মেশিনে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে। আর এ সকল পরীক্ষা-নিরীক্ষা বাবদ হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা অংকের অর্থ।
সম্প্রতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে এ ধরনের কবিরাজী চিকিৎসালয় সিলগালা করে দেয়। এ বিষয়ে সোনাতলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টিএইচও ডা. শারমিন কবিরাজ বলেন, কেউ ইচ্ছা করলে এক্স-রে মেশিন স্থাপন করতে পারে না। এজন্য সরকারি অনুমোদন লাগে। টেকনিশিয়ান ছাড়া এক্স-রে মেশিন চালানো ঠিক না। কারণ এক্স-রে মেশিনের আলোকরশ্মিতে মানবদেহের ক্ষতিসাধন হয়।
মন্তব্য করুন