বগুড়ায় ভয় দেখিয়ে ৭০ হাজার টাকা নিয়ে ফেরার পথে এপিবিএন সদস্যসহ আটক ৬
_original_1751557200.jpg)
স্টাফ রিপোর্টার : বগুড়ায় থানা পুলিশ পরিচয়ে অনলাইনে জুয়া খেলার অভিযোগে সোনাতলা থেকে ৭০ হাজার টাকা নিয়ে ফেরার পথে পুলিশের পিকআপসহ ছয়জনকে আটক করেছে বগুড়া জেলা পুলিশ। আটককৃতদের মধ্যে একজন বগুড়া ৪র্থ (আমর্ড ব্যাটালিয়ন পুলিশ) এপিবিএন’র ড্রাইভার কনস্টেবল ও অপর পাঁচজন বগুড়া সরকারি আজিজুল হক ও সোনাতলার সৈয়দ আহম্মেদ কলেজের ছাত্র। গত বুধবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে বগুড়া শহরতলীর সাবগ্রাম এলাকা থেকে তাদেরকে আটক করা হয়। আটককৃতরা হলেন-বগুড়া ৪র্থ (আমর্ড ব্যাটালিয়ন পুলিশ) এপিবিএন’র ড্রাইভার কনস্টেবল আল হাদী (২৭), কলেজছাত্র তারেক রহমান (২৫), শাহরিয়ার রহমান ( ২৬), আবিদ হাসান (২৬), সাদিক আকবর (২৬) ও আব্দুল্লাহ (১৮)।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এপিবিএন সদস্য আল হাদীর গ্রামের বাড়ি বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার চারালকান্দি গ্রামে। পার্শ্ববর্তী কাতলাহার গ্রামের শফিকুর রহমান ফটুর ছেলে ওয়ালিদ অনলাইন জুয়া খেলে। এমন খবর আল হাদী তার চাচাতো ভাই তারেক রহমানের মাধ্যমে পান। এরপর আটককৃতরা বুধবার রাতে এপিবিএন’র ডাবল কেবিন পিকআপ নিয়ে কাতলাহার গ্রামে যায়। সেখানে তারা নিজেদেরকে পুলিশ পরিচয় দিয়ে ওয়ালিদকে আটকের চেষ্টা করে। এসময় ওয়ালিদের বাবা তাদেরকে ৭০ হাজার টাকা দেন। পুলিশের পিকআপ সেখান থেকে রওনা করলে শফিকুর রহমান ফটু জাতীয় পরিসেবা ৯৯৯ এ ফোন করে বিষয়টি জানান। এরপর গাবতলী ও সদর থানা পুলিশ পিকআপটি আটকের জন্য অভিযানে নামেন। রাত দেড়টার দিকে সাবগ্রাম দ্বিতীয় বাইপাসে পুলিশের পিকআপটি আটক করে সদর থানা হেফাজতে নেয়া হয়।
থানা হাজতে আটক এপিবিএন সদস্য আল হাদী জানান, কাতলাহার গ্রামের ওয়ালিদ অনলাইন জুয়ায় টাকা লাগায়। তাকে পুলিশের ভয় দেখিয়ে টাকা আদায়ের জন্য পুলিশের গাড়ি নিয়ে বুধবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে সেখান যান। এরপর ওয়ালিদের বাবা শফিকুর রহমান ফটু স্বেচ্ছায় তাদেরকে ৭০ হাজার টাকা দেন। টাকা নিয়ে ফেরার পথে সদর থানা পুলিশ তাদেরকে আটক করে।
আরও পড়ুনবগুড়ার পুলিশ সুপার জেদান আল মুসা জানান, এপিবিএন সদস্য আল হাদীর পরিবারের সাথে পার্শ্ববর্তী কাতলাহার গ্রামের শফিকুর রহমান ফটুর বিরোধ ছিল। তাকে ভয় দেখানোর জন্য তারা পুলিশের গাড়ি নিয়ে সেখানে যায়। আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বগুড়ার ৪র্থ এপিবিএন’র অধিনায়ক (অ্যাডিশনাল ডিআইজি) শহীদ আবু সরোয়ার জানান, ড্রাইভার কনস্টেবল আল হাদী কাউকে না জানিয়ে সরকারি গাড়ি নিয়ে নিজ দায়িত্বে বাহিরে যান। পরে বগুড়া জেলা পুলিশের হাতে আটক হয়ে সদর থানা হেফাজতে রয়েছেন। সরকারি গাড়িটি জেলা পুলিশ এপিবিএন-এ হস্তান্তর করেছে। কনস্টেবল আল হাদীর বিরুদ্ধে আইনগত এবং বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মন্তব্য করুন