হাটের মাঠে হাঁটু পানি, ভোগান্তিতে মানুষ

কালাই (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি : গত তিনদিন ধরে হচ্ছে টানা বৃষ্টি। পানি নিস্কাশনের ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় জমে গেছে হাটের মাঠে এক হাঁটু পানি। শুধু তাই নয়, আশপাশে অপরিকল্পিত ভবন নির্মাণের কারণেই এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে জানান স্থানীয়রা
গতকাল শুক্রবার বিকেলে জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার উদয়পুর ইউনিয়নের মোসলেমগঞ্জ হাটে গিয়ে দেখা যায় পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় গত তিন দিন ধরে ওই এলাকায় জমে আছে পানি। ভোগান্তিতে পড়েছে হাটে আসা ব্যবসায়ী, হাটুরে ও পথচারীরা।
জানা যায়, সপ্তাহে প্রতি শুক্র ও মঙ্গলবার মোসলেমগঞ্জ হাট বার। এছাড়া প্রতিদিন বসে বাজার। হাজার হাজার মানুষের সমাগম হয় এই হাটে। এখান থেকে লোকজন মোসলেমগঞ্জ-কিচক ও মোসলেমগঞ্জ-রাজাবিরাট সড়ক হয়ে বিভিন্ন যানবাহনে বগুড়া ও গাইবান্ধায় চলাচল করে।
হাটের পাশে রয়েছে কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্য সেবা কমপ্লেক্স। প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ চলাচল করে হাটের ভেতর দিয়ে যাওয়া সড়কে। টানা তিনদিনের বৃষ্টির পানি জমে ছিল হাটের মাঠে। চরম ভোগান্তিতে পড়েন ব্যবসায়ীরা।
আরও পড়ুনস্থানীয় প্রধান শিক্ষক মকবুল হোসেন বলেন, বর্তমানে বিদ্যালয় বন্ধ আছে, সে কারণে হাটের ভিতরের রাস্তায় চাপ কম। গত তিনদিন ধরে এই রাস্তায় হাঁটু পানি জমে আছে। পানি নিস্কাশনের কারও মাথা ব্যাথা নেই। এই সমস্যা আজ একদিনের নয়, বহুদিনের। হাটুরেরা বলেন, ‘এই এলাকার একমাত্র হাট। প্রতিদিন না আসলেও প্রতি হাটবারে সবাইকে আসতে হয়। এই দুই দিন কাঁচাবাজার না করলে অনেক দূরে গিয়ে বাজার করতে হয়। হাটে পানি জমে থাকায় অনেকেই কেনাকাটা না করেই চলে গেছে।
হাটে আসা সবজি ব্যবসায়ী তোফাজ্জল হোসেন বলেন, হাটের জায়গা কাদা পানিতে একাকার, তারপরও কাদাতে মাদুর বিছিয়ে দোকানদারি শুরু করি। কিন্তু বিকেলের বৃষ্টিতে এক হাঁটু পানি জমে সবকিছু ডুবে গেছে।
হাট ইজারাদার মফিদুল ইসলাম বলেন, আমরা সবেমাত্র হাট পেয়ে মাশুল আদায় করছি। এ সবের কিছুই জানি না। গতকাল শুক্রবারে হাটের মাঠে বৃষ্টির পানি জমে বেচাকেনা হয়নি। তাই মাশুলও আদায় হয়নি। অনেক ব্যবসায়ীর ক্ষতি হয়েছে। উদয়পুর ইউপি সচিব বুলবুল আহম্মেদ বলেন, ‘এ বিষয়ে আগামী উপজেলা পরিষদের সমন্বয় সভায় আলোচনা হবে।
মন্তব্য করুন