বগুড়ার শেরপুরে সরকারি রাস্তার গাছ কাটার অভিযোগ

শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়ার শেরপুরে রাস্তার ছয়টি ইউক্যালিপটাস গাছ কেটে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় বিএনপি নেতা মিজানুর রহমান ও সরোয়ার রহমানসহ বাবলু (৫৮) এবং ফজর (৫৫) নামের ব্যক্তির বিরুদ্ধে।
মিজানুর রহমান সুঘাট ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সরোয়ার ওই ওয়ার্ডের সিনিয়র সহ-সভাপতি, বাবলু চোমরপাথালীয়া গ্রামের জালাল উদ্দিনের ছেলে ও ফজর মৃত অকমানের ছেলে। এই ঘটনায় এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করলেও ভয়ে কেউ কথা বলছেন না।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, আজ সোমবার (১৬ জুন) সকাল ১০টায় উপজেলার সুঘাট ইউনিয়নের চোমরপাথালিয়া গ্রামের সরকারি রাস্তার ওপর থেকে চারটি বড় ইউক্যালিপটাস গাছ কেটে নিয়েছেন মিজানুর ও সরোয়ারসহ স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা।
গাছগুলো কেটে ট্রলিতে তুলে দ্রুত সেখান থেকে নিয়ে যাওয়া হয়। এসময় তাদের ভয়ে এলাকার কেউ কোন কথা বলেননি ও বাধা দেননি। অপরদিকে ফজর আলী নামের স্থানীয় এক ব্যক্তি গত শনিবার দু’টি গাছ কেটে নিয়ে যায়।
সরেজমিনে গিয়ে এলাকাবাসীর সাথে কথা বললে তারা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, বিএনপির ৮নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে সিনিয়র সহ-সভাপতি সরোয়ার রহমানসহ স্থানীয় নেতারা এসে এই গাছগুলো কেটে নিয়ে গেছেন। তারা আরও বলেন, স্থানীয় ব্যক্তি বাবলুর কাছ থেকে নামমাত্র মূল্যে মিজানুর রহমান কিনে নিয়ে গাছগুলো কেটে নিয়ে গেছেন।
আরও পড়ুনগাছ বিক্রেতা বাবলুর স্ত্রী বলেন, আমাদের বাড়ির সামনের কয়েকটি গাছ মিজানুরের কাছে বিক্রি করেছি। রাস্তার ওপরের গাছ বিক্রির বিষয়ে বলেন, আমরা মেপে দেখি এই গাছগুলো আমাদের সীমানায় পড়েছে, কিন্তু গাছগুলো আমরা রোপণ করিনি।
৮নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান ও সরোয়ার বলেন, গাছগুলো বাবলুর সীমানায় হওয়ায় তিনি কেটে নিয়েছেন। সুঘাট ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হুমায়ুন কবির বিপ্লব বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। যদি কেউ দলের নাম ভাঙিয়ে কোন অপকর্মের সাড়ে জড়িত হয়, তবে তার বিরুদ্ধে দলীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশিক খান বলেন, বিষয়টি জানার পর লোক পাঠিয়েছি। গাছগুলো উদ্ধারের পর এর সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মন্তব্য করুন