ভিডিও শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫

‘সমন্বয়ক’ পরিচয়ে চাঁদাবাজি, সেনাবাহিনীর হাতে আটক ৩ যুবক

‘সমন্বয়ক’ পরিচয়ে চাঁদাবাজি, সেনাবাহিনীর হাতে আটক ৩ যুবক

সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার পুষ্পকাটি গ্রামে চাঁদা নিতে গিয়ে সেনাবাহিনীর হাতে আটক হয়েছেন তিন যুবক। তবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের (বৈছাআ) নেতারা তাদের ‘সংগঠনের কেউ নয়’ বলে দাবি করেছেন।

বৃহস্পতিবার (১২ জুন) ইউপি সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম রব্বানীর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

আটকরা হলেন—দেবহাটা উপজেলার বহেরা গ্রামের আব্দুল আলিমের ছেলে নাহিদ হাসান, শ্যামনগর উপজেলার কৈখালি গ্রামের আত্তাব মোল্যার ছেলে আব্দুর রহিম এবং আশাশুনি উপজেলার আব্দুর রহমান।

আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম রব্বানীর ভাই আব্দুর রব জানান, বৃহস্পতিবার বেলা আড়াইটার দিকে পাঁচ যু্বক দু’টি মোটরসাইকেলযোগে তার ভাইয়ের বাড়িতে যায়। এ সময় তারা নিজেদের সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে স্থানীয় জনৈক রফিকের কাছে পাওনা ৫০ হাজার টাকার জন্য এসেছেন বলে গোলাম রব্বানীকে জানান। কথোপকথনের একপর্যায়ে তারা গোলাম রব্বানীকে বাড়ির বাইরে ডেকে নিয়ে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। এ সময় বাদানুবাদের সময় আটককৃতরা তার ভাইকে ছুরিকাঘাত করে এবং বাড়িতে ঢুকে ভাংচুরসহ লুটতরাজ শুরু করে। একপর্যায়ে তারা সম্মিলিতভাবে হামলাকারীদের ধাওয়া দিয়ে ধরে ফেলে।

পরে ওই গ্রামের নৌবাহিনীতে কর্মরত এক ব্যক্তির মাধ্যমে সেনা ক্যাম্পে যোগাযোগ করে। পরে সেনা সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হওয়ার পর আটককৃতদের সেনাবাহিনীর হাতে ও মোটরসাইকেল পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।

এদিকে, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাতক্ষীরা জেলা আহ্বায়ক আরাফাত হুসাইন এক ফেসবুক পোস্টে দাবি করেছেন, আটক তিনজনের কেউই তাদের সংগঠনের সদস্য বা সমন্বয়ক নন। তিনি লেখেন, তিনজনের একজনও সমন্বয়ক বা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেউ নয়। তবে তাদের একজন আন্দোলন চলাকালে আহত হয়েছিল।

আরও পড়ুন

রাত সাড়ে ১২টার দিকে আরেকটি পোস্টে তিনি বলেন, জুলাই স্পিরিট পরিপন্থি কোনো কাজ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন মেনে নেবে না। সমন্বয়ক পরিচয়ে চাঁদার ঘটনা নিন্দনীয়। যাদের নাম এসেছে এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আটক করেছে, তারা আমাদের কমিটির কেউ নয়।

তিনি আরও বলেন, চাঁদাবাজ কোনো দলের হতে পারে না। সে যেই দলই হোক, কোনো দলই চাঁদাবাজিকে সমর্থন করে না।

তবে দেবহাটা উপজেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক মুজাহিদ বিন ফিরোজ দাবি করেছেন, আওয়ামী লীগের সময়ে রব্বানী মেম্বর বিভিন্ন অপকর্ম করেছে। তাই জেলা সমন্বয়করা তাকে ধরতে যায়। তারা আমাকে জানালে আমি ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠাই। কিন্তু ওই বাড়ির লোকজন মিথ্যা অভিযোগ এনে সমন্বয়কদের ডাকাত বলে অপপ্রচার চালিয়ে ফাঁসিয়েছে।

এ বিষয়ে দেবহাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম কিবরিয়া হাসান গণমাধ্যমকে বলেন, আটক হওয়া তিন যুবককে সেনাবাহিনী আমাদের কাছে হস্তান্তর করেছে। এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ বা মামলা হয়নি।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

নেতানিয়াহু পালিয়েছেন গভীর রাতে

তাপপ্রবাহ নিয়ে যা জানালো আবহাওয়া অধিদপ্তর

রবিবার শুরু হচ্ছে ক্লাব বিশ্বকাপ

দেশে ফিরেছেন ১৬ হাজার ৪৬৯ হাজি

টাঙ্গাইলে সেতুর দুই প্রান্তে ৩০ কিলোমিটার যানজট

চাকরির প্রলোভনে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে পাঠানো চক্রের মূলহোতা গ্রেপ্তার