লাগেজে ৪৭ বিষধর সাপ, ভারতীয় যাত্রী গ্রেফতার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : থাইল্যান্ড থেকে ফেরার পথে ৪৭টি বিষধর সাপ ও বিরল প্রজাতির সরীসৃপ লাগেজে বহন করায় মুম্বাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এক ভারতীয় যাত্রীকে গ্রেপ্তার করেছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। রবিবার চেক-ইন লাগেজ পরীক্ষার সময় এই বিপুল সংখ্যক সুরক্ষিত প্রাণী উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তার যাত্রীর নাম এখনো প্রকাশ করা হয়নি। তিনি বর্তমানে পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন এবং তার পক্ষ থেকে এখনো কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
ভারতের কাস্টমস বিভাগ এক্স (পূর্বতন টুইটার) পোস্টে জানায়, আটক যাত্রীর লাগেজ থেকে উদ্ধার হওয়া প্রাণীদের মধ্যে রয়েছে—
তিনটি স্পাইডার-টেইলড হর্ণড ভাইপার,
পাঁচটি এশিয়ান লিফ টার্টল
এবং ৪৪টি ইন্দোনেশিয়ান পিট ভাইপার।
একটি ছবিতে দেখা গেছে, রঙিন সাপ থালার মধ্যে নড়াচড়া করছে, যা উদ্ধারকৃত বিষধর প্রাণীর একটি অংশ মাত্র।
ভারতের বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী, সুরক্ষিত বা বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতির প্রাণী আমদানি নিষিদ্ধ এবং অন্য যেকোনো প্রাণী আনার ক্ষেত্রেও অনুমতিপত্র ও লাইসেন্স বাধ্যতামূলক।
আরও পড়ুনকাস্টমস জানায়, প্রাণীগুলোর উৎস এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে এমন ঘটনায় ভারতীয় বিমানবন্দরগুলোতে বারবার বন্যপ্রাণী পাচারের চিত্র উঠে আসছে।
এ বছরের জানুয়ারিতে দিল্লি বিমানবন্দরে এক কানাডীয় নাগরিককে একটি কুমিরের খুলিসহ গ্রেপ্তার করা হয়। ফেব্রুয়ারিতে মুম্বাই বিমানবন্দরে এক যাত্রীর লাগেজে পাঁচটি সিয়ামাং গিবন পাওয়া যায়, যা প্লাস্টিক বাক্সে ভরে আনা হচ্ছিল।
২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্যাঙ্কক থেকে ফেরার সময় ১২টি বিদেশি প্রজাতির কচ্ছপ বহনের দায়ে দুই যাত্রীকে আটক করা হয়েছিল। এমনকি ২০১৯ সালে চেন্নাই বিমানবন্দরে থাইল্যান্ডফেরত এক যাত্রীর লাগেজে পাওয়া যায়—
একটি হর্ণড পিট ভাইপার সাপ, পাঁচটি ইগুয়ানা, চারটি ব্লু-টাংড স্কিংক, তিনটি গ্রিন ট্রি ফ্রগ এবং ২২টি মিসরীয় কচ্ছপ।
ভারতে প্রাণী পাচার একটি উদ্বেগজনক চিত্র, যেখানে বিমানবন্দরগুলো বারবার এই ধরনের অপচেষ্টা রুখতে সচেষ্ট হলেও পাচারকারীরা কৌশল পরিবর্তন করে আবারও চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
মন্তব্য করুন