ভিডিও সোমবার, ০২ জুন ২০২৫

নওগাঁয় জমজমাট কোরবানির পশুহাট দাম নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া

নওগাঁয় জমজমাট কোরবানির পশুহাট দাম নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া

নওগাঁ প্রতিনিধি : ঈদুল আজহার বাকি আর মাত্র কয়েকদিন। এরই মধ্যে নওগাঁয় জমজমাট হয়ে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট। ক্রেতা-বিক্রেতাদের উপস্থিতে সরগরম বিভিন্ন পশুর হাটগুলো। ক্রেতাদের পাশাপাশি ভিড় জমাচ্ছেন দূর-দূরান্তের ব্যবসায়ীরা। এবারও বড় গরুর তুলনায় ছোট ও মাঝারি গরুর চাহিদাই বেশি। তবে দাম নিয়ে রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।

বিক্রেতারা জানান, হাটে ছোট ও মাঝারি আকারের গরুর চাহিদা বেশি। বড় গরুর কেউ কিনতে চাইছেন না। বড় আকারের গরুর ক্রেতা কম থাকায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন বিক্রেতেরা। এছাড়াও হাটগুলোতে গরুর সরবরাহ বেশি হওয়ায় খরচের তুলনায় তেমন দাম পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেন তারা। এতে শঙ্কায় খামারিরা ও প্রান্তিক চাষিরা।

জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, কোরবানির ঈদ উপলক্ষে এ বছর জেলায় ছোট-বড় মিলিয়ে ৩৮ হাজার ৫৭৩টি খামারে দেশীয়, অস্ট্রেলিয়ান, ফ্রিজিয়ানসহ বিভিন্ন জাতের প্রায় ৭ লাখ ৮৮ হাজার ৩২০টি গবাদিপশু লালনপালন করা হয়েছে। জেলায় চাহিদা রয়েছে প্রায় ৩ লাখ ৮৬ হাজার ৪৩৭টি পশু। এসব গরু বেচাকেনার জন্য জেলায় স্থায়ী ও অস্থায়ী প্রায় ৩৬টি হাট বসানো হয়েছে। এছাড়াও উদ্বৃত্ত পশু ব্যবসায়ীরা দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করবেন।

জেলার সবচেয়ে বড় পশুরহাট মান্দা উপজেলার চৌবাড়িয়া, সতিহাট, মহাদেবপুর উপজেলার মাতাজি, রানীনগর উপজেলার আবাদপুকুর ঘুরে দেখা যায় দুপুর ১২টার পর থেকেই এসব হাটে বিভিন্ন জাতের ও আকারের গরু নিয়ে আসতে শুরু করেন খামারি, প্রান্তিক চাষি ও ব্যাপারীরা। দুপুর ২টার পর থেকে কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায় হাটগুলো।

আরও পড়ুন

এরপর ক্রেতা-বিক্রেতাদের উপস্থিতিতে সরগরম হয়ে উঠে। হাটগুলোতে ক্রেতারা আসছেন, দেখছেন, ঘুরছেন দরদাম করে কিনছেন পছন্দের পশু। তবে ভারতীয় গরু না থাকায় দেশীয় গরুর চাহিদায় বেশি। ৯০ হাজার থেকে ১ লাখ ৪০ হাজার টাকার ছোট ও মাঝারি আকারের গরুর চাহিদা বেশি। এসব হাটে ক্রেতাদের পাশাপাশি ভিড় জমাচ্ছেন ঢাকা ও ঢাকার বাইরের বড় ব্যবসায়ীরা। তবে দাম নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যায় ক্রেতা-বিক্রেতার মধ্যে।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. মাহফুজার রহমান বলেন, সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপায়ে পশু লালন-পালনে আগে থেকেই জেলার খামারিদের মাঝে প্রচারণা চালানো হয়েছে। চাহিদার চেয়ে অতিরিক্ত পশু থাকায় কোনো সঙ্কট হবে না। হাটগুলোর বিভিন্ন স্থানে মেডিকেল টিম বসানো হয়েছে। এছাড়াও নওগাঁ সীমান্তবর্তী জেলা হওয়ায় যাতে ভারতীয় গরু না আসে এজন্য প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। আশা করি এবছর খামারিরা লাভের মুখ দেখবেন।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

পাকিস্তানের কাছে যুদ্ধবিমান হারানোর স্বীকারোক্তিতে চাপে মোদি সরকার

মেজর সিনহা হত্যা মামলার আসামীদের মৃত্যুদণ্ড বহাল

বিকেলে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর বৈঠক 

‘নেইমার’ হাত দিয়ে গোল করে পেলেন ‘লালকার্ড’ 

মেজর সিনহা হত্যা মামলার আজ আপিলের রায় 

আজ অন্তর্বর্তী সরকার উপস্থাপন করবে দেশের ৫৪তম বাজেট