ফেসবুক লাইভে কষ্টের কথা জানিয়ে ব্যবসায়ীর আত্মহত্যা
ধুনট (বগুড়া) প্রতিনিধি : সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক লাইভে প্রায় একঘন্টা ধরে কষ্টের কথা জানিয়ে বগুড়ার ধুনটে এক ব্যবসায়ী আত্মহত্যা করেছে। মঙ্গলবার সকাল ১০টায় ধুনট পৌর শহরের দক্ষিণ অফিসারপাড়া এলাকার একটি ভাড়া বাড়িতে সে বিষাক্ত গ্যাস ট্যাবলেট সেবনে আত্মহত্যা করে।
ওই ব্যবসায়ীর নাম রাসেল আহম্মদ (২৫)। তার বাবার নাম আবু তাহের ওরফে সোনা উদ্দিন। ধুনট শহরের স্কুল মার্কেটে তার একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। সে পৌর এলাকার পশ্চিম ভরণশাহী গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা। দক্ষিণ অফিসার পাড়ার ওই বাসায় সে ভাড়া থাকতো। আত্মহত্যার সময় সে বাড়িতে একাই ছিল।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাসেল আহম্মেদ শহরের প্রথম সারির একজন ব্যবসায়ী। সুখেই চলছিল তার সংসার জীবন। ব্যবসায়িক কাজে চলতি মাসের প্রথম দিকে মালায়েশিয়ায় যা সে। সেখান থেকে ১৫ মে নিজ বাসায় ফেরে। মূলত মালেয়শিয়া থেকে বাসায় ফেরার পরই পারিবারিক বিষয়াদি নিয়ে সে চরম হতাশায় পড়ে। এ অবস্থায় মঙ্গলবার সকালে পরিবারের সবার সাথে সাক্ষাত করে ১০টার দিকে ভাড়াবাড়িতে ফিরে আসে। এরপর ঘরের দরজা বন্ধ করে রাসেল আহম্মেদ নামে নিজের ফেসবুক পেইজে লাইভে এসে নিজের কষ্টের কথা বলে। সে টানা ৫৪ মিনিট ৫৮ সেকেন্ড ফেসবুক লাইভে ছিল। পরিবারকে মুক্ত করে দেওয়ার কথাও উল্লেখ করে ফেসবুক লাইভে। লাইভে কথা বলার মাঝেই সে পর পর দু’টি বিষাক্ত গ্যাস ট্যাবলেট সেবন করে অচেতন হয়ে পড়ে। এসময় ফেসবুকে লাইভ দেখে তার আত্মীয়-স্বজন ঘটনাস্থলে পৌছে ঘরের দরজা ভেঙে তাকে বের করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়। সেখান থেকে তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুর ১২টায় তার মৃত্যু হয়। রাসেল আহম্মেদের আত্মহত্যার ঘটনার ভিডিও দ্রুত ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।
বগুড়া সদর থানার এসআই ফিরোজ মিয়া বলেন, এ ঘটনায় একটি অস্বাভাবিক মৃত্যু মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর রাসেল আহম্মেদের মৃতদেহ তার স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন
মন্তব্য করুন